করোনা আক্রান্ত দেশের প্রথম মহিলা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের মৃত্যু

পদ্মাবতী দেবীর দুটি ফুসফুসই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল করোনা ভাইরাসের দ্বারা, এমনটাই জানালেন ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট বা এনএইচআই'য়ের সিইও চিকিৎসক ওপি যাদব। এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন পদ্মাবতী দেবী। পশ্চিম দিল্লির পাঞ্জাবি বাঘ শ্মশানে পদ্মাবতী দেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

 

নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণে শনিবার রাতে প্রয়াত হলেন ভারতের প্রথম মহিলা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এসআই পদ্মাবতী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর। বিগত ১১ দিন ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন৷

পদ্মাবতীদেবীর ফুসফুসে ক্ষতি করেছিল করোনা৷ এমনটাই জানিয়েছে ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট বা এনএইচআই'য়ের সিইও চিকিৎসক ওপি যাদব। এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন পদ্মাবতীদেবী। পশ্চিম দিল্লির একটি শ্মশানে পদ্মাবতী দেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই কিংবদন্তি মহিলা চিকিৎসক তাঁর কাজ করে গিয়েছেন।

ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট এই কিংবদন্তি চিকিৎসকই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখানে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সপ্তাহে ৫ দিন, ১২ ঘণ্টা সময় একটানা কাজ করতেন পদ্মাবতী দেবী। তিনি সারা জীবনে তাঁর কাজের জন্যে একাধিক সম্মান পেয়েছেন। হৃদরোগের চিকিৎসায় পদ্মাবতী দেবী'কে 'গডমাদার' আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ১৯৫৪ সালে পদ্মাবতী দেবী লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজে উত্তর ভারতের প্রথম কার্ডিয়াক ক্যাথেরাইজেশন ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

১৯৬৭ সালে তিনি মাওলানা আজাদ মেডিকেল কলেজের পরিচালক তথা অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পাশাপাশি, ইরভিন এবং জি বি প্যান্ট হাসপাতালের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। এখানেই তিনি কার্ডিওলজিতে প্রথম ডিএম কোর্স, প্রথম করোনারি কেয়ার ইউনিট এবং ভারতের প্রথম করোনারি কেয়ার ভ্যান চালু করেছিলেন 'গডমাদার' এসআই পদ্মাবতী। ১৯৬২ সালে অল ইন্ডিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন এবং ১৯৮১ সালে ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা কার্ডিওলজিস্ট। ভারত সরকারের তরফে ১৯৬৭ সালে তাঁকে 'পদ্মভূষণ' এবং ১৯৯২ সালে 'পদ্মবিভূষণ' সম্মানে সম্মানিত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 − 1 =