ওটাওয়া: করোনা আবহে প্রেম নিয়ে বড়ই বিচিত্র সমস্যায় পড়েছে মানুষ। প্রেম কর, অথচ চুমু খাওয়া বারণ! কারণ সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা। কিন্তু যৌন সঙ্গম? তাও কি বারণ? সেখান থেকেও কি ছড়িয়ে পড়তে পারে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস? আর যদি তাই হয় তাহলে কখন কীভাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই কারওর কাছে। তবে এবার কানাডার চিফ মেডিকেল অফিসার থেরেসা তাম জানিয়েছেন নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চললে যৌনতার সময়ে করোনা সংক্রমণ অনেকাংশেই এড়ানো যাবে।
তিনি বলেছেন যৌনতার সময় সবচেয়ে কার্যকরী সিমেন ও ভ্যাজাইনাল ফ্লুইড। কিন্তু এর থেকে করোনা সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। করোনা সংক্রমনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল কিসিং বা চুমু খাওয়া। এখান থেকেই করোনা সংক্রমনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। যৌন মিলনের আগে বা যৌন মিলনের সময় চুমু খাওয়া এড়িয়ে যেতে বলেছেন তিনি। কানাডার এই বিশেষজ্ঞ থেরেসা তাম আরও বলেছেন যদি একান্তই যৌনতাকে লাগাম না পরানো না যায় তাহলে সেই রাস্তাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে মাক্স পরে সেক্স করার কথাও বলেছেন তিনি। পাশাপাশি সচেতন করেছেন করোনার সময় যৌনতা বা সঙ্গম থেকে যতটা বিরত থাকা যায় ততই মঙ্গল। যদিও সেক্স মানুষের স্বাভাবিক শারীরিক চাহিদা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সেই স্বাভাবিকতাকে খানিকটা লাগাম পরানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। থেরেসা এও বলেছেন এ বিষয়ে কানাডার মানুষ অত্যন্ত সচেতন তাই। সঙ্গমের আগে কানাডিয়ানরা যথেষ্ট সজাগ থাকবে বলে আশা তাঁর।
করোনা আক্রান্তের শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে ছড়াতে পারে করোনা। এছাড়া থুতু, কফ, সর্দি থেকেও করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল। এমনকী কিছু কিছু গবেষকদের মতে অনেক সময় চোখের জল, রক্ত-সহ আরও ১৯ রকম দেহতরল থেকেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে করোনা যৌনতা থেকে ছড়ায় কিনা এ বিষয়ে কোনও স্পষ্ট প্রমাণ না পাওয়া গেলেও একই গোত্রের জিকা, ইবোলা ভাইরাস যৌন মিলন থেকে ছড়াতে পারে। তাই 'প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর' এই নীতিতেই বিশ্বাস করা ভাল। চিকিৎসকদের মতে তাই, “আক্রান্ত পুরুষরা সেরে ওঠার ১৪ দিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে যৌন মিলন না করাই ভাল।” কিন্তু এখানে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অনেক সময় করোনা রোগীর শরীরে কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। সেক্ষেত্রে কি যৌন মিলন নিরাপদ?