দোহা: ভয়াল ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক এবং সিরিয়া৷ চারিদিকে স্বজন হারার আর্তনাদ৷ ক্রমেই বেড়ে চলেছে মৃত্যু মিছিল৷ যাঁরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন, ভালো নেই তাঁরাও৷ তাঁদের কাছে বেঁচে থাকাটাও এখন দায়৷ মাথার উপর ছাদ নেই। পেটে খাবার নেই। তার উপর প্রবল শীতের কামড়। এই পরিস্থিতিতে তুরস্ক ও সিরিয়ার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ৷ তুরস্কের পাশে দাঁডিয়ে ভারত শুরু করেছে ‘অপারেশন দোস্ত’৷ এবারং পাশে এসে দাঁড়াল কাতার। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল কাতারে। সিরিয়া এবং তুরস্কের ঘরছাড়া মানুষের আশ্রয় দিতেই এবার বিশ্বকাপের জন্য তৈরি ১০ হাজার কেবিন এবং ক্যারাভ্যান পাঠানোর কথা ঘোষণা করল কাতার৷
আরও পড়ুন- নিরাপদ স্থানে যাওয়ার তাড়না, দুর্গতদের জন্য বিনামূল্যে বিমান পরিষেবা তুরস্কে
সোমবারই দোহা বন্দর থেকে তুরস্কের উদ্দেশে পাঠানো হবে বেশ কিছু চলমান কেবিন এবং ক্যারাভ্যান। আগামী দিনে ধাপে ধাপে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় আরও ত্রাণসামগ্রী এবং চলমান কেবিন পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন কাতারের এক আধিকারিক। ইতিমধ্যেই কাতার থেকে ১৩০ জনের একটি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে তুরস্কে৷ পাঠানো হয়েছে ১০০ টন ত্রাণ সামগ্রী৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার তুরস্কে গিয়েছেন কাতারের এমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি।
গত সপ্তাহের সোমবার৷ তুরস্ক তখন ঘুমের দেশে৷ ভোররাতে কেঁরে ওঠে সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কষ রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৮৷ বিধ্বংসী সেই ভূমিকম্পে দুই দেশ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বাড়িঘর, অফিস, স্কুল-কলেজ থেকে হাসপাতাল। মুহূর্তের মধ্যে গৃহহীন দুই পড়শি দেশের হাজার হাজার মানুষ। এই জটিল পরিস্থিতিতে এবার বিপর্যস্ত দুই দেশের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করল ২০২২ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতার। সেখানে ঘরছাড়া মানুষের জন্য বিশ্বকাপের সময় ব্যবহৃত চলমান কেবিন এবং ক্যারাভ্যানগুলি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাতার প্রশাসন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>