রসুনের উপকারিতার কথা কে না জানে? অনেকেই সকালে এক কোয়া রসুন খান। এতে অনেক রোগ থেকে সুরক্ষা মেলে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীর অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে রসুনের অ্যালিসিন উপাদান রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। দেহে অ্যান্টি-ক্যান্সার এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বাড়াতে সাহায্য করে রসুন।
চিকিত্সাশাস্ত্র অনুযায়ী নিয়মিত রসুন খেলে রক্তে কোলেস্টেরল আয়ত্তে থাকে। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে রসুন। এছাড়া রসুন হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও কমায়। ঠান্ডায় সর্দি-কাশি, জ্বর ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে রসুন। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ও ডায়েরিয়া রসুন খেলে দূরে থাকে। রসুনের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার আরও বেশি। মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এনজাইম, আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম ও সেলিনিয়াম থাকে। রসুন আর মধু একসঙ্গে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়া ডায়ারিয়া এবং পেটের সমস্যা দূর করতে রসুন মধুর মিশ্রণ খেতে পারেন। এই মিশ্রণের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহের ইনফেকশন দূর করে। এছাড়া ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। ধমনীতে জমে থাকা চর্বি নির্মূল করতে সাহায্য করে এই মিশ্রণ। ফলে হৃদযন্ত্র সচল থাকে।
রসুনের ২-৩টি কোয়ার সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে রোজ সকালে খেতে পারেন। এর ফলে শরীর ফিট থাকে ও এনার্জি দেহে সঞ্চারিত হয়। এছাড়া রসুনের টনিক বানিয়েও খেতে পারেন। এটি বানানোর প্রক্রিয়া একটু কষ্টকর। মাঝারি সাইজের পেঁয়াজের অর্ধেক, ৫ কোয়া রসুন, ২টি শুকনো লঙ্কা ও ১ টেবিল চামচ আদা ভাল করে কুঁচিয়ে নিন। এরপর একটি গোটা পাতিলেবুর রস এবং অ্যাপল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে সেই কুঁচনো জিনিসগুলি মেশান। রোজ সকালে এই মিশ্রণ এক চামক করে খান। জ্বর হলে একটি পাত্রে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, শুকনো লঙ্কা কুঁচি মিশিয়ে তাতে লেবুর রস দিয়ে একটি মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। তবে এই মিশ্রণের সঙ্গে সব ভিনিগার মিশিয়ে উপরের দিক একটু ফাঁকা রেখে ঢেকে রাখুন। জ্বর সারাতে এই মিশ্রণ অত্যন্ত উপকারী। এমনকী সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথাও এসে সেরে যায়।