চুল পড়ার সমস্যা এখনকার দিনে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কমবেশি সবাই এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যান। চুল পড়ার পিছনে রয়েছে হাজার একটি কারণ। দূষণ, স্ট্রেস আরও অনেক কারণ রয়েছে এর পিছনে। কিন্তু এই সব সমস্যা নিয়েই তো চলতে হবে। তাই সেগুলি সরিয়ে ফেলা যদি সম্ভব না হয় তবে চুল পড়া কমানোর জন্য অন্য রাস্তা খোঁজা বাঞ্ছনীয়। এর কয়েকটি উপায় বাতলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজির মধ্যে পুষ্টিগুণ থাকে প্রচুর। প্রয়োজনীয় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট সবই থাকে সবুজ শাকসবজির মধ্যে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এগুলি রাখলে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে চুলেরও উপকার হয়। চুলও পুষ্টি পায়। আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম চুলকে বাড়তে সাহায্য করে। বিশেষ করে শাক চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই খাদ্য তালিকায় রাখুন পালংশাক, লেটুস, ব্রকোলি ও বাঁধাকপি।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোয় থাকে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ১২, দস্তা, রিবোফ্ল্যাভিন, থিয়ামিন, ভিটামিন এ, সি, ই, ফোলেট, নিয়াসিন, ভিটামিন বি ৬, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম। এগুলি চুলকে বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রোটিন, ফাইবার এবং নট এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডও চুলের ক্ষেত্রে উপকারী। এছাড়া অ্যাভোকাডো নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
মাছ
মাছের মধ্যে থাকে ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। যে হরমোন চুল পড়ার জন্য দায়ী সেগুলি নিঃসরণের বাধা দেয় এই ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, কপার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং বেটা ক্যারোটিন থাকে। এই উপাদানগুলি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে চুল পড়া কমে যায় ও নতুন চুল গজায়। এছাড়া এর মধ্যস্থ বেটা ক্যারোটিন চুল ঝলমল করতেও সাহায্য করে।
সূর্যমুখীর বীজ
সূর্যমুখী ফুলের বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৫ থাকে। এটি স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল বাড়ায়।
ওটমিল
ওজন কমাতে ওটস উপকারী। কিন্তু জানেন কি এটি চুল পড়া কমাতেও পারে? চুলের জন্যও ওটস উপকারী। ওটসে রয়েছে বেটা-গ্লুক্যানস। এটি ইনসুলিন সেনসিটিভিটিকে বাড়ায়। ফলে চুল ভাল থাকে।