ডিপ্রেশন আর যৌনতার মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই আদায় কাঁচকলায়। মানুষের মন খারাপ থাকলে যৌন ইচ্ছা শিকেয় ওঠে। ডিপ্রেশনের কারণে তলানিতে গিয়ে ঠেকে সেক্স। শেষ হয়ে যায় শারীরিক আকর্ষণ। কিন্তু সম্প্রতি জানা গিয়েছে ডিপ্রেশন হলে নাকি তা কমিয়ে দিতে পারে সেক্স। কিছুদিন আগেই একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এই নতুন তথ্য।
গবেষণায় বলা হয়েছে ডিপ্রেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সিমেন বা বীর্যের জুড়ি মেলা ভার। এটি নাকি ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়তে আশ্চর্যরকমভাবে সাহায্য করে। এমনকী মহিলাদের ক্ষেত্রেও এটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। বিশেষজ্ঞরা অনেক সময়ই মহিলাদের ডিপ্রেশন হলে সেক্সের পরামর্শ দেন। এর পিছনে কারণও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে মনকে আয়ত্তে আনতে যৌনতা সবচেয়ে ভাল টোটকা। কারণ বীর্য হরমোনের সঠিক ক্রিয়া ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। গবেষকরা কয়েকজন কলেজ পড়ুয়াদের উপর সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। তার ফলাফল বিশ্লেষণ করেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন তাঁরা। গবেষকরা দেখেন, যারা সঙ্গমের সময় কনডোম ব্যবহার করেন, তাদের মধ্যে হতাশার ভাগ বেশি। যারা কন্ডোম ব্যবহার করে না তাদের থেকে অনেক বেশি হতাশায় ভোগে তারা।
গবেষকদের মতে সরাসরি বীর্যপাত হতাশা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। কিন্তু ডিপ্রেশন কমে যাওয়ার জন্য কন্ডোম ব্যবহার না করার পক্ষে কিন্তু মত দেননি তাঁরা। বরং তাংরা সেক্সের সময় কন্ডোম ব্যবহারের কথা বলেছেন। কিন্তু অবসাদ কাটাতে যে সেক্স আবশ্যম্ভাবী, তাও বলেছেন গবেষকরা। কারণ তাঁদের মতে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর যারা সেক্স সম্পর্কে অবগত নন, বা খোলসা করে বলল যাদের যৌন মিলন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেই তারা হতাশা ভোগে বেশি। কিন্তু উলটোটাও রয়েছে। অনেকে আবার অল্প বয়সেই সেক্সে আসক্ত হয়ে পড়ে। বয়সের আগে হস্তমৈথুন বা ফিঙ্গারিংয়ের কারণেও হতাশা আসতে পারে। এটি এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে আবার প্রেমের সম্পর্কে থাকা সত্ত্বেও সেক্সে ভয় পান। বস্তুত পার্টনারকে বিশ্বাস করতে পারে না তারা। অবিশ্বাসের অবশ্য অনেক কারণ রয়েছে। কিন্তু সেসব বাদ দিলে গবেষকরা বলেছেন, একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর সেক্স দরকার। এতে শরীর ও মন, দুইই ভাল থাকে।