aap
নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই বিরোধীদের ছন্নছাড়া ছবিটা আরও বেশি প্রকট হচ্ছে। এবার আম আদমি পার্টি প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘোষণা করে দিলেন পাঞ্জাবের ১৪টি আসনে তাঁরা একাই লড়বেন। এই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান। তবে এবার দলের অবস্থান সরাসরি স্পষ্ট করে দিলেন কেজরিওয়াল। তাই আম আদমি পার্টি শাসিত দিল্লিতেও কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা কার্যত ক্ষীণ হয়ে গেল বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তবে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোট বলতে আর কিছু রইল কি? একের পর এক রাজ্য থেকে এ ব্যাপারে হতাশার ছবি উঠে আসছে।
এখনও পর্যন্ত যা ছবি সামনে রয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, বিহার ছাড়া বিরোধীদের জোট কার্যত কোথাও হচ্ছে না। কিন্তু এই রাজ্যগুলিতে আগেও কংগ্রেসের সঙ্গে অন্য অ-বিজেপি দলগুলির জোট ছিল। তাই ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের কারণে সেখানে জোট হচ্ছে এটা কখনই বলা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হচ্ছে না, একথা সদ্য একটি সাক্ষাৎকারে ফের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এটা স্পষ্ট বিরোধীরা নির্বাচনের আগেই বিজেপির থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। যেভাবে ঘটা করে ‘ইন্ডিয়া’ জোট গঠিত হল, একের পর এক বৈঠক হল, সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে সেই সমস্ত খবর উঠে এল, তারপরেও এই অবস্থা যে হবে সেটা অনেকেই ভাবতে পারেননি।
স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে উল্লসিত বিজেপি। কেন্দ্রে পরপর তিন বার ক্ষমতায় আসা অর্থাৎ হ্যাটট্রিকের স্বপ্নে বিভোর তারা। রাজনৈতিক মহল মনে করে এই ব্যর্থতার দায় শুধু কংগ্রেসের একা নয়, প্রতিটি অ-বিজেপি দলকেই সেই দায় নিতে হবে। এতগুলি মাস কেটে যাওয়ার পরেও দলগুলি নিজেদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে পারেনি। সেই কারণেই বিজেপি বিরোধী দলগুলি একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার যে কৌশল নিয়েছিল তা অধিকাংশ রাজ্যে সফল হচ্ছে না। সবমিলিয়ে জোটের যে দফারফা হয়েই গিয়েছে, সেটা বোঝাই যাচ্ছে।