কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ তালিকার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জে করে হাইকোর্টে দারস্থ হয়েছেন ১৩৬ জন চাকুরি প্রার্থী। আগামী মঙ্গলবার মামলার শুনানি হবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৯ সালে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের নির্দেশ মানা হয়নি৷ স্বচ্ছ ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি৷
আরও পড়ুন- নেতাজি সুভাষ কলেজে কর্মী নিয়োগ, আবেদনের শেষ দিন ৩১ জুলাই
আপাতত অনিশ্চয়তার মধ্যে ১৩৬ জন চাকরি প্রার্থীর জীবন৷ সৌমিতা সরকার, হাবিবুল্লা শেখ সহ ১৩৬ মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের মেধাতালিকায় ১৩৬ জন প্রার্থীর নাম ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে ২১শে জুন যে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন সেই তালিকা থেকে তাঁরা বাদ পড়েছেন এই ১৩৬ জন চাকরিপ্রার্থী। আরও অভিযোগ, তাঁদের সমমেধার অনেকের নাম ২০১৯ সালের মেধা তালিকা ও এই ইন্টারভিউ তালিকায় ছিল৷ এই ইন্টারভিউ তালিকাতেও তাঁদের নাম রয়েছে৷ কিন্তু বাদ পড়েছে এই ১৩৬ জনের নাম।
আরও পড়ুন-গ্রাম ডাক সেবকের আবেদন গ্রহণের সময়সীমা বাড়ল
আশিষ বাবু জানান, গত ১১ই ডিসেম্বর ২০২০ সালে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ২০১৯ সালের মেধা তালিকা সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে৷ পাশাপশি স্বচ্ছ মেধা তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। ওই নির্দেশে আরও বলা হয়েছিল, রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন যে মেধাতালিকা প্রকাশ করবে তাতে চাকুরি প্রার্থীর নাম, বয়স এবং প্রাপ্ত নম্বর উল্লেখ করতে হবে৷ পাশাপাশি শূন্যপদ আরও বাড়াতে হবে এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন যে তালিকা প্রকাশ করবে তার ১৫ দিন আগে যে শুন্য পদ থাকবে সেটা ও নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যাঁরা বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়, তাঁদের ইন্টারভিউতে রাখা যাবে না৷ অথচ ইন্টারভিউ তালিকা দেখা যাচ্ছে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরাও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।