কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিশনের অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দাযের করা হয়েছিল৷ কিন্তু উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগে সিবিআই তদন্তের মামলায় হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগে একাধিক অনিয়ম হয়েছে বলে দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন উলুবেড়িয়া বাসিন্দা সুব্রত মণ্ডল।
আরও পড়ুন- অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার পদে নিয়োগ
মঙ্গলবার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি গ্রহণ করে৷ কিন্ত বেঞ্চ জানায় উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রন্ত মূল মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এজলাসে৷ তাই মামলাকারি সেই এজলসেই আবেদন করতে পারেন। আবেদনকারীর অভিযোগ ছিল, উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে৷ সিবিআই বা সিআইডি অফিসারদের নিয়ে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন করে তদন্ত করা হোক। এছাড়াও বলা হয়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের পোর্টালও বন্ধ রাখা হয়েছে৷ ফলে ডেটাবেস ব্যবহার করতে পারছেন না চাকরি প্রার্থীরা৷ সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের পোর্টাল চালুর আবেদনও জানানো হয়েছে৷ আবেদনকারীর আর্জি, সার্ভার আনলক করে ডেটাবেস ব্যবহার করার অনুমতি দিক কমিশন৷
আরও পড়ুন- ক্লার্ক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল আইবিপিএস
প্রথমবার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয় বলে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।দ্বিতীয়বার নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও একাধিক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়ার পরেও অনিয়ম কার্যত থেকেই গিয়েছে৷ বারবার অনিয়মের মামলা হচ্ছে হাইকোর্টে৷ যার জেরে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে৷ একই কমিশন একই নিয়োগ প্রক্রিয়া কী ভাবে ভুল করে? এই প্রশ্ন তুলেই মামলা করা হয়েছিল৷