কলকাতা: এসএসসি নিয়ে জটিলতা বিগত কয়েক মাস ধরে অব্যাহত রয়েছে। এখনো পর্যন্ত আদালতের জট কাটেনি এবং চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন চালাচ্ছেন। এরই মাঝে বিধানসভায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেছিলেন যে, আদালতের জট কেটে গেলে আগামী দুই মাসের মধ্যে কমপক্ষে ১৫ হাজার নিয়োগ হবে এসএসসিতে। কিন্তু এই ঘোষণাতে একদমই খুশি হয়নি চাকরিপ্রার্থীরা, উলটে তাঁদের বক্তব্য, ভুল তথ্য দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এই নিয়ে এখন বিতর্ক। কী ভুল তথ্য দিলেন ব্রাত্য?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে পুজোর পর বিশাল নিয়োগ হতে চলেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই রকম পদক্ষেপ করা যায়নি যেহেতু বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তবে আদালতের এই জটিলতা কেটে গেলে আগামী দুই মাসে কমপক্ষে ১৫ হাজার নিয়োগ হবে এসএসসিতে, এমনটাই দাবি ছিল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর। কিন্তু এই ইস্যুতে চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, এসএসসি কর্তৃপক্ষ নিজেরাই দাবি করে বলছে যে, নিয়োগের জন্য তিন মাস সময় দরকার। ওদিকে, আদালতের জট কাটতেও সময় লাগবে ভালই। সব মিলিয়ে তিন মাস তো বটেই, আরও দেরি হতে পারে। তাহলে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হয়ে এই ধরণের ঘোষণা তিনি কী করে করেন, প্রশ্ন তুলেছে আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি তাঁদের এই বক্তব্য, শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে এই তথ্য দিয়ে তিনি মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন, তাই তাঁকে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। এই দাবিতে বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁদের।
উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগের পাহাড়। সেই কারণে আপাতত নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সমস্ত অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য আরও ৩ মাস সময় বরাদ্দ করেছে আদালত। ততদিন আপাতত বন্ধ থাকবে নিয়োগ সুপারিশ। এই মামলায় ১৫ সপ্তাহ পর ফের শুনানি হবে। শিক্ষা দফতরের সহ অধিকর্তা প্রতিটি অভিযোগের নিষ্পত্তি করবেন। এমনই নির্দেশ বিচারপতি সৌমেন সেন ডিভিশন বেঞ্চের। জুলাই মাস থেকে কার্যত এই নিয়ে সমস্যা শুরু হয়েছে।