কলকাতা: ফের এসএসসি’র বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ৷ আদালতের দ্বারস্থ হলেন ৩২ জন চাকরিপ্রার্থী৷ এর আগেও একাধিকবার রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ এবার এসএসসি’ র বিরুদ্ধে ১১ দফা অভিযোগ আনলেন একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীর ৩২জন চাকুরিপ্রার্থী। যাঁরা সকলেই নিয়োগের অপেক্ষায় ছিলেন। অর্থাৎ তাঁর তালিকার ওয়েটিং প্রার্থী৷
আরও পড়ুন- SSC গ্রুপ ডি মামলা: ভুয়ো নিয়োগ বাতিল করে দিল হাইকোর্ট
স্কুল সার্ভিস কমিশের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানান শ্রীমন্ত মাইতি সহ ৩২জন চাকুরী প্রার্থী। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কি কি অভিযোগ রয়েছে এসএসসি’র বিরুদ্ধে? অভিযোগ, ১২র(৬,৭,৮) নিয়ম না মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়েছে৷ যেখানে আইন মেনে সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি৷ পাশাপাশি শূন্যপদ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাট অফ মাক্স জানানো হয়নি৷ আরও ভয়ঙ্কর অভিযোগ হল, এমন কিছু চাকুরিপ্রার্থীর নাম তালিকায় স্থান পেয়েছে, যাঁরা কিনা পরীক্ষাতেই বসেননি। মামলাকারীদের অভিযোগ, তাঁদের থেকে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদেরও নিয়োগ করা হয়েছে৷
আরও অভিযোগ, তিনটি পৃথক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে নিয়োগ করার কথা আইনে বলা থাকলেও তা মানা হয়নি৷ প্রার্থীরা কত নম্বর পেয়েছেন তা প্রকাশ না করেই একটি মাত্র তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রার্থী তালিকা বিভ্রাট নিয়ে ২০১৮ সালে বিচারপতি শেখর ববি সরাফের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসএসসি ওই চাকরি প্রার্থীদের কোনও জবাব না দেওয়ায় তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন৷ বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি চলাকালীন মামলাকরীর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতকে জানান, রুল ১২র(৬,৭,৮)বলা আছে পূর্নাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে৷ পাশাপাশি কে কত নম্বর পেয়েছেন তার পূর্নাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন শুধুমাত্র একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন৷ যেখানে কারোর প্রাপ্ত নম্বর উল্লেখ করা নেই।
অন্যদিকে, এসএসসি’র আইনজীবী সুতনু পাত্র জনান, মামলাকারীরা দেরি করে আদালতে এসেছেন৷ প্রত্যেকটি অভিযোগের ভিত্তিতে হলফনামা জমা দিতে প্রস্তুত। আগামী ২২শে মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্ৎ করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।