কলকাতা: ফের চাকরি ক্ষেত্রে দুর্নীতি৷ পশ্চিম বর্ধমান জেলা জজ আদালতে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ। স্টাফ সিলেকশন এক্সজামিনেশন অফ পশ্চিম বর্ধমান জজশিপ-২০১৯ এর পরীক্ষায় অবৈধ ভাবে ব্যবহার করা হল মোবাইল ফোন৷ কোনও পরীক্ষার্থী আবার নিয়ে এল ভ্যানিশিং কালি৷ কেউ আবার পরীক্ষায় বসল ভুয়ো অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে৷ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার ২৫৷
আরও পড়ুন- উত্তরপত্রেই গলদ! ‘ভুল’ স্বীকার SSC-র, চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বাড়ানোর নির্দেশ হাই কোর্টের
উল্লেখ্য, রবিবার ছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলা জজ আদালতে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা (স্টাফ সিলেকশন এক্সামিনেশন অফ পশ্চিম বর্ধমান জজশিপ -২০১৯)৷ মোট দু’টি পর্যায়ে পরীক্ষা হয়৷ গ্রুপ ডি, ই-স্টেনো-সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। কলকাতা হাই কোর্টের তত্ত্বাবধানে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন স্কুলে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বিভেন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম৷ আসানসোল উত্তর থানা এলাকার স্কুলে ৩০০ পরীক্ষার সিট পড়েছিল৷ কিন্তু উপস্থিত হয়েছিলেন মাত্র ৮১ জন। আবার আসানসোল শহরের একটি গার্লস স্কুলেও পরীক্ষার্থী উপস্থিতির হার ছিল ৪০ শতাংশ৷ প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল৷ কিন্তু তার পরেই চলল ব্যাপক জালিয়াতি৷
কোনও কোনও পরীক্ষার্থী একেবারে মোবাইল ফোন খুলে পরীক্ষা দিতে বসলেন৷ আবার কেউ ব্যবহার করল ভ্যানিশিং কালি। জালিয়াতির অভিযোগে একটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ২০ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। অবৈধ ভাবে মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ৫ পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে৷ ৫ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ভ্যানিশিং কালি৷ বাকি ১০ জনের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডই ভুয়ো৷ পরিচয়পত্রের সঙ্গে ছবির কোনও মিল নেই৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>