কলকাতা: রাজ্যে আশা কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। আশা কর্মীদের নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর পর সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের মাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বর এবং ইন্টারভিউয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইন্টারভিউ ছাড়া কোনো কর্মীর নিয়োগ বৈধ বলে বিবেচিত হবে না। এই কথা স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যে আশা কর্মী নিয়োগ নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কোর্টের সামনে আইনজীবীদের বিক্ষোভ, ঘেরাও
শুধু যে আশা কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তা নয়। নবম-দশম থেকে শুরু করে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। এসএসসি গ্রুপ-ডি, গ্রুপ-সি সব জায়গাতেই দুর্নীতি নিয়ে সরব চাকরিপ্রার্থীরা। ইতিমধ্যেই আদালতে এই নিয়ে মামলাও চলছে এবং সদ্য প্রকাশ্যে এসেছে যে, ৬০৯ টি ভুয়ো সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুসারে, সুপারিশ পত্রের হিসাব রাখার জন্য আলাদা রেজিস্ট্রার ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যানকে না জানিয়েই এই সুপারিশ পত্র দেওয়া হত। এই নিয়োগপত্র গুলি পর্ষদের অফিস থেকে না দিয়ে এসএসসির নবনির্মিত ভবন থেকে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আবার বঞ্চিত হবু শিক্ষক পদপ্রার্থীদের আন্দোলন ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩ দফা মিলে মোট ৪০০ দিন পূর্ণ করেছে মঙ্গলবার।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপে রয়েছে রাজ্য সরকার। একাধিক অভিযোগে কার্যত বিদ্ধ তারা। এদিকে নাগাড়ে চলছে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন, সঙ্গে রয়েছে বদলি নিয়ে সমস্যা। এখন নতুন করে আবার আশা কর্মীদের নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন। এখন এটা দেখার যে, এই নিয়োগ নিয়ে কোনও বিতর্ক সৃষ্টি হয় কিনা।