কলকাতা: নিয়োগ কেলেঙ্কারির মাঝেই ৬ হাজার ৮৬১ টি শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী পদে বঞ্চিত মেধাতালিকাভুক্তদের নিয়োগের জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ করে বিকাশভবন। কিন্তু শারীর এবং কর্মশিক্ষায় ওয়েটিং লিস্টের সকলের নিয়োগের কথা বললেও নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি-তে এই সংখ্যাটি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই ইস্যুতে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির (STEA) দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা সম্পাদক এবং বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের প্রথম থেকে পাশে থাকা শিক্ষক নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, “এই সিদ্ধান্তের ফলে বঞ্চিত হতে পারেন ওয়েটিং লিস্টের বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী।”
আরও পড়ুন- স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে ফের আন্দোলন শহরে, সাময়িক উত্তপ্ত রাজপথ
আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিভাজনের চক্রান্ত বন্ধ করে অবিলম্বে ওয়েটিং লিস্টের সকল মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের দাবি জানান হয়েছে তাদের তরফে। কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার ক্ষেত্রে ওয়েটিং লিস্টের সকলকে নিয়োগের ব্যবস্থা করা গেলে বাকীদের ক্ষেত্রে অসুবিধা কোথায়, এই প্রশ্নই তোলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি, আন্দোলনকারীদের ঐক্যকে ভেঙে দেওয়া এবং আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যেই এই বিভাজন নীতি।” তাই সকলকেই তিনি ঐক্যবদ্ধ থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কোন ক্ষেত্রে কতগুলি শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে, বিজ্ঞপ্তিতে সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে৷ জানান হয়েছে, কর্মশিক্ষা এবং শারীরশিক্ষার সহকারী শিক্ষকের জন্য মোট ১ হাজার ৬০০ টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। ৭৫০ টি পদ কর্মশিক্ষার জন্য, শারীরশিক্ষার ক্ষেত্রে ৮৫০ টি পদ। এদিকে নবম-দশম শ্রেণির সহকারী শিক্ষক পদের জন্য ১ হাজার ৯৩২ টি নতুন আসন তৈরি করা হয়েছে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সহকারী শিক্ষকের জন্য ২৪৭ টি নয়া পদ তৈরি হয়েছে। স্কুলে গ্রুপ ‘সি’ কর্মী নিয়োগ করা হবে ১ হাজার ১০২ জনকে৷ গ্রুপ ‘ডি’ পদের জন্য তৈরি হয়েছে ১ হাজার ৯৮০ টি নয়া পদ৷