কলকাতা: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই৷ তদন্তে নেমে অফিসারদের হাতে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য৷ তাঁরা বলছেন, নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করার আগেও উঠেছিল আপত্তি৷ হয়েছিল প্রতিবাদ৷ এসএসসি’র উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল বেশ কিছু স্কুল৷ এসএসসি’র নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় আইনজীবী ও অভিযোগকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই-এর হাতে।
আরও পড়ুন- সাতটি বুলেটে ঝাঁঝরা হয়েছিল শরীর, মৃত্যুকে হারিয়ে UPSC পরীক্ষায় সফল সেই রিঙ্কু
বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছেন, সেই ববিতা সরকারকে নিজাম প্যালেসের আঞ্চলিক দফতরে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশে অঙ্কিতার বেআইনি নিয়োগের ক্ষেত্রে ববিতার বয়ান লিপিবদ্ধ করতে চায় সিবিআই।
সোম ও মঙ্গলবার এসএসসি মামলার আইনজীবী ও অভিযোগকারীদের প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করেছে সিবিআই৷ এক সিবিআই-কর্তার কথায়, ‘‘অভিযোগের গোড়ায় পৌঁছতে চাইছি আমরা। এর জন্য অভিযোগকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করা প্রয়োজন। কারণ, বেআইনি ভাবে চাকরি দেওয়ার সময় যে বিনিয়োগ হয়েছিল, তার যাবতীয় নথিপত্র অভিযোগকারীদের মাধ্যমেই আইনজীবীদের কাছে পৌঁছেছে। মামলা চলাকালীনও অভিযোগকারীরা তাঁদের আইনজীবীদের নানা তথ্য সরবরাহ করেছেন।’’ সিবিআইয়ের দাবি, কিছু অভিযোগকারী এখনও প্রকাশ্যে আসেননি। তাঁদেরও খোঁজ চলানো হচ্ছে। আইনজীবীদের মাধ্যমেই ওই সব অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে৷
সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসাররা জানান, বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া একাধিক ব্যক্তির সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর বেশ কিছু ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের চিত্র স্পষ্ট। কী ভাবে, কার মাধ্যমে এই বেআইনি নিয়োগ হয়েছিল, সেই বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷ তদন্তকারী অফিসারদের কথায়, তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বেআইনি নিয়োগের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। এর পিছনে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগসাজশ ছিল৷ এবং তাঁর মতেই একটি বৃহত্তর চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল, সেটা স্পষ্ট৷ ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এ ছাড়াও, দীর্ঘ জেরার মুখে পড়তে হয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকেও। তদন্তকারীদের দাবি, বেআইনি নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির পাঁচ সদস্য নয়, শিক্ষা দফতরের অনেক অফিসারও কোনও না-কোনও ভাবে জড়িত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>