নয়াদিল্লি: ভারতীয় নৌবাহিনীতে মহিলাদের জন্য বিশেষ সুযোগ৷ নৌসেনার বিশেষ বাহিনীতে এ বার যোগ দিতে পারবেন মহিলারাও। ইংরেজি দৈনিক ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এক পদস্থ আধিকারিককে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় সেনার মধ্যে নৌসেনাই প্রথম, যাদের বিশেষ বাহিনীতে কমান্ডো হিসাবে মহিলাদের নিয়োগ করা হবে৷
আরও পড়ুন- কী ভাবে ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রথম হবেন? মন্ত্র দিলেন IAS টিনা দাবি
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নৌসেনার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নৌসেনায় মহিলারাও আবার কমান্ডো পদে (এ ক্ষেত্রে মার্কোস) যেতে পারবেন। তবে তার আগে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাঁদের৷ কারণ, বিশেষ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকেই কঠিন অনুশাসনের মধ্যে কঠিনতম পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে তৈরি করতে হয়। যা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য৷ এ বার সেই দরজা খুলে যাচ্ছে মহিলাদের জন্যেও। তাঁরা কমান্ডো হতে চাইলে পাশ করতে হবে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা। সফল হলেই নৌসেনায় কর্মরত যে কোনও মহিলা মেরিন কমান্ডোর বিশেষ বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন৷
নৌসেনার কমান্ডো বাহিনী পরিচিত মার্কোস নামে৷ যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে পারে এই বাহিনী৷ জল, স্থল, আকাশ- তিন জায়গাতেই সমান ভাবে লড়াই করতে সক্ষম তারা। শত্রুপক্ষের উপর অতর্কিতে হামলা চালাতে পারদর্শী হয়ে থাকে এই মার্কোস বাহিনী। সমুদ্রের বুকে যুদ্ধ করার পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের উলর লেকেও জঙ্গি মোকাবিলায় সফল মার্কোস কমান্ডোরা।
সাধারণত ভারতীয় স্থল সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনার স্পেশাল ফোর্সের আধিকারিকরা দেশের সেরা জওয়ান হয়ে থাকেন। মারাত্মক কঠিন প্রশিক্ষণের পর তাঁদের কাঁধে সাজে ওঠে স্পেশাল ফোর্সের ব্যাজ৷ মানসিক, শারীরিক দিক থেকে এক চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায় তাঁরা৷ তাঁদের এতটাই কঠোর প্রশিক্ষণ হয় যে, একজন সাধারণ মানুষ তা চিন্তাই করতে পারেন না। তবে জওয়ানদের সরাসরি স্পেশাল ফোর্সে নিয়োগ করা হয় না। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর কোনও জওয়ান স্বেচ্ছায় স্পেশাল ফোর্সের প্রশিক্ষণ নিতে চাইলে, তাঁকে সুযোগ দেওয়া হবে। পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনীর এলিট স্পেশাল ফোর্সের সদস্য হতে পারবেন৷ এবার ‘এলিট’ বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পথ প্রশস্থ হল নারীদের সামনে৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক নৌসেনা আধিকারিক জানান, বিশেষ অভিযান থেকে শুরু করে বোমারু বিমান ওড়ানো, যুদ্ধজাহাজের দায়িত্বপালন, নৌসেনার সমস্ত শাখাতেই মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি চলছে। তাঁর কথায়, নৌসেনা নিজেকে পুরোপুরি লিঙ্গনিরপেক্ষ বাহিনীতে বদলে ফেলেছে।