১৬০ আসনে হার প্রায় নিশ্চিত! ২৪-এ গরিষ্ঠতা পেতে হাতে ৩৮৩, ছক কষা শুরু বিজেপি’র

১৬০ আসনে হার প্রায় নিশ্চিত! ২৪-এ গরিষ্ঠতা পেতে হাতে ৩৮৩, ছক কষা শুরু বিজেপি’র

 নয়াদিল্লি:  হাতে গোনা আর ঠিক দেড় বছর৷ তার পরেই শুরু হবে রাজনীতির মহারণ৷ বাজবে লোকসভা ভোটের দামামা৷ তৃতীয়বার মসনদ দখলের লড়াইয়ে মরিয়া পদ্ম শিবির৷ কিন্তু, ভোটের আগে দলীয় মূল্যায়নে মাথায় হাত  বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের। কারণ,  দেশজুড়ে মোট ১৬০টি আসনকে ‘দুর্বল’  হিসেবে চিহ্নিত করেছে গেরুয়া শিবির। এই আসনগুলিতে জেতা বিজেপি’র পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হবে৷ হার একপ্রকার নিশ্চিত ধরে নিয়ে এখন থেকে রণকৌশল তৈরি করতে শুরু করেছে গেরুয়া নেতৃত্ব৷ ‘দুর্বল’ আসনগুলির উপর কব্জা জমাতে আসরে নামছেন তিন শীর্ষ পদাধিকারী। এই ১৬০টির মধ্যে অর্ধেক আসনেরই দায়িত্বে থাকছেন স্বয়ং বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বাকি অর্ধেক আসনের উপর নজরদারি চালাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

আরও পডুন- Breaking: আচমকা অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ

আমাদের দেশে লোকসভার আসন সংখ্যা ৫৪৩। এর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে বিজেপি’র হাতে থাকবে ৩৮৩টি আসন৷ দুর্বলের তালিকায় রয়েছে ১৬০টি আসন৷  দুর্বল হিসেবে যে আসনগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলির অধিকাংশই রয়েছে বাংলা, বিহার এবং মহারাষ্ট্রে। আর এই আসনগুলিই বিজেপি’র দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। যেমন- পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২১টিই ‘দুর্বল’-এর তালিকায়। মমতা গড়ে সেই আসন দখল যে সহজ হবে না, তা ভালোমতোই জানেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা। একইভাবে বাংলার পড়শি রাজ্য বিহারে রয়েছে নীতীশ কুমারের রাজ। যিনি কিনা পদ্মের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপিকে একেবারে রাজ্য থেকে ক্ষমতা ছাড়া করে ছেড়েছেন। 

এবার আসা যাক মহারাষ্ট্রের কথায়৷ সেখানে জোট সরকার চললেও, তা তো জোড়াতালি দেওয়া। সেখানেও একাধিক আসন রয়েছে দুর্বলের তালিকায়৷ তাই লোকসভা ভোটের দেড় বছর আগে দলীয় মূল্যায়নে কপালে চিন্তার ভাঁজ গেরুয়া শিবিরের। কারণ, ১৬০টি আসনে পরাজয় নিশ্চিত হলে স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি’র কাছে চব্বিশের লড়াই কঠিন হয়ে উঠবে৷ সেক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে তাদের হাতে থাকবে মাত্র ৩৮৩টি আসন। তবে এর মধ্যে শরিক দলের আসন ধরা হয়নি। সেগুলি বাদ রেখেই শুধুমাত্র নিজেদের আসন সংখ্যার নিরিখেই এই ভোটঅঙ্ক কষেছেন বিজেপির নেতারা৷ 

দলীয় সূত্রের ব্যাখ্যা, সার্বিকভাবে এনডিএর আসন সংখ্যা বিশ্লেষণ করা হলে নিশ্চিত ভাবেই উল্লিখিত পরিসংখ্যানে কিছুটা পরিবর্তিত আসবে। তবে সদ্য সমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে বিরোধীরা যেভাবে মোদী সরকারকে এককাট্টা হয়ে চেপে ধরেছিল, সেই তেজ চব্বিশ পর্যন্ত বজায় থাকলে ২৭২-এর ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতেও বেশ বেগ পেতে হবে পদ্ম শিবিরকে। দলের অন্যতম সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘গত লোকসভা ভোটে যে আসনগুলিতে বিজেপি পরাজিত হয়েছিল, সেই আসনগুলি নিয়ে যাবতীয় পরিকল্পনা চলছে। হেরে যাওয়া আসনগুলির মধ্যে শরিক দলেরও নির্বাচনী কেন্দ্র রয়েছে। গত লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়া আসনগুলিতে ২০২৪ সালে যাতে ভালো ফল করা যায়, সেই উদ্দেশ্যেই দুর্বল আসনগুলি চিহ্নিত করে রণকৌশল তৈরি করে নেওয়া হচ্ছে।’