ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান পাচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন

নয়াদিল্লি: ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের সর্বোচ্চ সম্মান পেতে চলেছেন অমিতাভ বচ্চন৷ এবার তাঁর ঝুলিতে যাচ্ছে দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড৷ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে অসামান্য অবদানের জন্য অমিতাভ বচ্চনকে এই সম্মান দেওয়ার ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর৷ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আজ দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেন৷ ১৯৬৯ সালে বিগবি চলচ্চিত্র জগতের প্রথম পা রাখেন৷ সাত

ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান পাচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন

নয়াদিল্লি: ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের সর্বোচ্চ সম্মান পেতে চলেছেন অমিতাভ বচ্চন৷ এবার তাঁর ঝুলিতে যাচ্ছে দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড৷ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে অসামান্য অবদানের জন্য অমিতাভ বচ্চনকে এই সম্মান দেওয়ার ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর৷ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আজ দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেন৷

১৯৬৯ সালে বিগবি চলচ্চিত্র জগতের প্রথম পা রাখেন৷ সাত হিন্দুস্থানী নামের চলচ্চিত্রের মধ্যে দিয়ে সাতটি প্রধান চরিত্রের মধ্যে একটিতে অমিতাভ বচ্চনের অভিনয় ছিল উল্লেখযোগ্য৷ অমিতাভ বচ্চন এর প্রথম ছবি বাণিজ্যিক ভাবে সাফল্যের মুখ দেখেনি৷ তবুও অমিতাভ বচ্চনের অভিনয় ছিল নজরকাড়া৷ উৎপল দত্তের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে ওঠে গোটা ভারত৷ প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি৷ এরপরই রাজেশ খান্নার আনাদ ছবি বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য পান৷ গোটা দেশজুড়ে প্রশংসা কোড়ান বচ্চন৷ ওই ছবিতে জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ এক ডাক্তারের ভূমিকায় অভিনয় করে ফিল্মফেয়ারে বেস্ট অভিনেতা পুরস্কার পান তিনি৷ ১৯৭৩ সালে বিগ বি’র জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে৷ জাহাঙ্গীর ছবিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন তিনি৷ ইন্সপেক্টর বিজয় খানের চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন অমিতাভ বচ্চন৷ জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে যান তখনই৷

এরপর ১৯৭৩ সালে জয়াকে বিয়ে করেন৷ একদিকে অভিনয় অন্যদিকে সংসার দু’টিই একহাতে সামলে চলেন৷ ১৯৭৪ সালে বেশ কিছু সিনেমায় প্রশংসা পায়৷ ওই বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত শোলে সিনেমায় অনবদ্য অভিনয় জনপ্রিয়তার শিখরে ওঠেন অমিতাভ বচ্চন৷ এরপর এক অভিনয় ও পুরস্কার চলে আসে অমিতাভ বচ্চনের ঝুলিতে৷ ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত অজস্র পুরস্কার পেয়েছেন অমিতাভ বচ্চন৷

১৯৮৪ সালে গান্ধী পরিবারের সমর্থনে অভিনয় থেকে সংক্ষিপ্ত বিরতি নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন৷ তিনি এলাহাবাদ লোকসভা আসনে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়ান৷ ভারতীয় নির্বাচনের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন তিনি৷ কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক জীবন ছিল সংক্ষিপ্ত৷ তিন বছর পর তিনি পদত্যাগ করেন৷ রাজনীতিকে নর্দমার সঙ্গে তুলনা করে ফের অভিনয় জগতে ফিরে যান৷ ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর ‘রক্তের বদলা রক্ত’ স্লোগান দিয়ে বিতর্কে জড়ান৷ যদিও পরে তিনি পরে অস্বীকার করেন৷ একের পর এক সিনেমায় সাফল্যের পর টেলিভিশন জগতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠেন তিনি৷ কৌন বানেগা ক্রোড়পতি ছিল তার অন্যতম একটি উদাহরণ৷ একই সঙ্গে অভিনেতা, প্রযোজক ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আজও বলিউডকে মাতিয়ে রেখেছেন বিগবি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − ten =