মুম্বই: সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে নয়া মোড়। গত ১৪ জুন মুম্বাইয়ে নিজের ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেছিলেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। তাঁর আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে গিয়ে বারবার উঠে আসছে স্বজনপোষণের কথা। এই নিয়ে বিহারের একটি আদালতে করণ জোহর, সঞ্জয় লীলা বনশালি, সালমান খান, একতা কাপুর, এবং আদিত্য চোপড়ার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল একটি মামলা। সেই মামলা বুধবার খারিজ করল আদালত।
বিহারের এক স্থানীয় আইনজীবী সুধীরকুমার ওঝা মামলা দায়ের করেছিলেন এই তারকারদের বিরুদ্ধে। বুধবার মুজাফফরপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুকেশ কুমার সেই মামলা খারিজ করে দেন। তিনি জানান, সুশান্তের আত্মহত্যার সঙ্গে সঞ্জয় লীলা বনশালি, একতা কাপুর, সালমান খান, সাজিদ নাদিয়াদ্বালা এবং আদিত্য চোপড়ার কোন যোগসূত্র নেই। পিটিশনে বলা হয়েছিল এই মামলার অন্যতম সাক্ষী কঙ্গনা রানাউত। অভিনতার মৃত্যুর পর তিনি স্বজনপোষণের অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। সম্ভবত সেই কারণেই তাঁকে সাক্ষী হিসেবে পরিগণিত করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও অভিযোগ ধোপে টেকেনি। আদালতে তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, অভিযোগপত্রে অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে যে কারণটি উল্লেখ করা হয়েছে তা আদালতের এক্তিয়ার বহির্ভুত। তাই মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়।
এদিকে সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকে একটার পর একটা নতুন ঘটনা সামনে আসছে। কিছুদিন আগে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুম্বাই পুলিশ। ঘটনায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় বনশালি 'রাম লীলা' ছবিতে সুশান্তকে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন সুশান্ত যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। সেই কারণে না করে দেন তিনি। অথচ রণবীর সিং চুক্তিবদ্ধ থাকাকালীন অন্য প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন।
দুই অভিনেতার ক্ষেত্রে দু'রকমের নীতি নেওয়া হল কেন, সেই নিয়ে যশরাজ ফিল্মসের কাছে জবাবদিহি চেয়েছে পুলিশ। এছাড়া বনশালি বান্দ্রা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি সুশান্তের সঙ্গে চারটি ছবিতে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ডেট না মেলায় তাঁদের কাজ করা হয়নি। যদিও এনিয়ে তদন্ত এখনও চলছে। অভিনেতার মৃত্যু তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক, এমন দাবিও উঠেছে। তবে এখনও পর্যন্ত মুম্বাই পুলিশই ঘটনার তদন্ত করছে।