মুম্বই: একমাসেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে আত্মঘাতী হয়েছেন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। কিন্তু তাঁর মৃত্যু তদন্ত এখনও গুটিয়ে আনতে পারেনি পুলিশ। এখনও চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। কিন্তু শোনা যাচ্ছে এখনও তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট নয় পুলিশ। ফলে তাঁর উপর নজর রয়েছে এখনও। শোনা যাচ্ছে আবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হবে।
পুলিশের সন্দেহের মূলে রয়েছে রিয়ার মাসিক খরচ। তার পরিমাণ দেখে বেগতিক ঠিক দেখছেন না আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকেই নাকি নিয়মিত খরচ করতেন রিয়া। বেশ কিছু কাগজপত্রেও নাকি রয়েছে সেই প্রমাণ। তার উপর কিছু কাগজপত্র লোপাটও হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেক টাকার হিসেব পাচ্ছে না তারা। কিছু বিলও নিখোঁজ। আর সেই কারণেই রিয়াকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর। তাঁর কাছে খরচের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হবে।
তবে শুধু এই একটি বিষয় নয়। রিয়া বর্তমানে নেটিজেনদেরও টার্গেট। কারণ, তাঁর সাম্প্রতিকতম পোস্ট। সুশান্তের একটি ছবি পোস্ট করে রিয়া ইনস্টাগ্রামে অভিনেতার মত্যু তদন্তে সিবিআই হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন। সেখানে নিজেকে 'সুশান্তের গার্লফ্রেন্ড' হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন রিয়া। তিনি অমিত শাহের কাছে আবেদন জানিয়ে লিখেছেন, সরকারের প্রতি তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি জানতে চান কিসের চাপে সুশান্ত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। রিয়ার এই পোস্টের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে নেটদুনিয়ায়। অনেকে তাঁর আবেদনকে কুমিরের কান্না আখ্যা দেন। কেউ আবার সরাসরি তোপ দাগেন রিয়ার বিরুদ্ধে।
এদিকে সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে এবার করণ জোহরকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। অভিনেতার মৃত্যুর পর যে স্বজনপোষণের বিতর্ক উঠেছিল, সেখানে করণ জোহরের নাম ছিল সবার আগে। এছাড়া ছিলেন সলমন খান, আদিত্য চোপড়ার মতো ব্যক্তিত্বরা। ইতিমধ্যেই যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে সুশান্তের চুক্তি চেয়ে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু সলমন খান বা করণ জোহরকে জিজ্ঞাসাবাদের খবরে এখনই সম্মতি জানাতে রাজি নয় তারা। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তজন্তকারীরা। সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীও। এছাড়া অভিনেতার বাবা, বোন, বন্ধু, পরিচারকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে সুশান্তের আত্মহত্যার সময় ব্যবহৃত কুর্তা। তবে এখনো কোনো উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পুলিশের হাতে আসেনি। তদন্ত চলছে।