মুম্বই: অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে নয়া মোড়। এবার প্রযোজক আদিত্য চোপড়া ও সঞ্জয় লীলা বনশালির বয়ানে অসঙ্গতি পেল পুলিশ। তাদের সন্দেহ এই দুজনের মধ্যে কেউ, অথবা দুজনেই সঠিক তথ্য সরবরাহ করেননি।
সঞ্জয় লীলা বনশালি তাঁর বিবৃতিতে বলেছিলেন যে তিনি 'বাজিরাও মাস্তানি'তে সুশান্ত সিং রাজপুতকে কাজ করার অনুমতি চাওয়ার জন্য যশরাজ ফিল্মসের কাছে গিয়েছিলেন। তখন তাঁকে বলা হয়েছিল সুশান্ত 'পানি' ছবিতে কাজ করছেন। এদিকে শনিবার ভারসোভা থানায় বিবৃতি রেকর্ড করার সময় যশরাজ ফিল্মসের চেয়ারম্যান আদিত্য চোপড়া বলেন যে সুশান্তকে 'বাজিরাও মাস্তানি'তে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য বনশালি কখনোই তাঁর কাছে যাননি। তাঁর সংস্থা সুশান্তকে চুক্তিতে থাকাকালীন 'এম এস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি' ছবিতে কাজ করার অনুমতি দিয়েছিল।
তাই তাঁকে অন্যান্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হত না। শনিবার মুম্বাই পুলিশ টানা ৪ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল আদিত্য চোপড়াকে। প্রয়াত অভিনেতা যার সাথে তিনটি চলচ্চিত্রের চুক্তি হয়েছিল তাঁর প্রোডাকশন হাউসের। বনশালির সাথে সুশান্তকে কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অথচ চুক্তিতে থাকাকালীন রণবীর সিংকে অন্যান্য প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজের অনুমোদন দেয় যশরাজ ফিল্মস। এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাঁকে তলব করে। পুলিশ সূত্রে খবর, আদিত্য তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন যে সুশান্ত সিং রাজপুত যশরাজ ফিল্মসের সাথে চুক্তি করার আগেই বনশালি রণবীর সিংকে চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন।
সুশান্ত সিং রাজপুত যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে তিনটি ছবির চুক্তিতে ছিলেন। এর মধ্যে তিনি দুটি ছবি করেছিলেন। 'শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স' এবং 'গোয়েন্দা ব্যোমকেশ বকসি'। 'পানি' নামে তৃতীয় ছবির জন্য সুশান্তকে প্রধান চরিত্রে স্বাক্ষর করানো হয়েছিল। এটি পরিচালনা করেছিলেন শেখর কাপুর। ছবির প্রাক প্রযোজনায় পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। কিন্তু ছবিটি মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। আদিত্য চোপড়ার মতে, পরিচালকের সঙ্গে ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টরের সমস্যা ও বাজেট সংক্রান্ত গন্ডগোলের জন্যই বন্ধ হয়ে যায় 'পানি'। এর সঙ্গে সুশান্তের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু ছবির পরিচালক শেখর কাপুর জানান, যশরাজের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছিল সুশান্তের সঙ্গে 'পানি' করা যাবে না। তাই ছবির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।