মুম্বই: ভারতের বৃহত্তম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি মানেই বলিউড। তাই প্রতিটি রাজ্যের আলাদা আলাদা আঞ্চলিক ফিল্মি দুনিয়া থাকলেও বলিউডে আসার সুযোগ পেতে চান নায়িকারা। আজ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নায়িকারা এসেছেন বলিউডে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগেই দক্ষিণের। বলা যায়, দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নায়িকাদের আবেদনে মাতোয়ারা ভারচের সর্ববৃহৎ ফিল্ম ইন্ডাস্টি।
কাজল আগারওয়াল: দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়ালের বলিউড অভিষেক ২০০৪ সালেয ছবির নাম 'কিঁউ! হো গায়া না…'। এরপর 'স্পেশ্যাল ২৬' 'সিংঘম', 'দো লফজোঁ কি কাহানি' সহ একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কাজ করেছেন অক্ষয় কুমার, রণদীপ হুডা, অজয় দেবগনের মতো অভিনেতার সঙ্গে। সাধারণত অভিনেত্রীরা আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম থেকে বলিউডে আসেন। কাজল আগারওয়ালের ক্ষেত্রে উলটো। আগে তিনি বলিউড ছবিতে কাজ করেন। তারপর আঞ্চলিক ছবিতে ডেবিউ হয় তাঁর।
শ্রুতি হাসান: কমল হাসান আ সারিকার কন্যা শ্রুতি হাসানের সৌন্দর্যে মাত আসমুদ্রহিমাচল। তিনি একাধারে যেমন অভিনেত্রী, তেমন গানও গাইতে পারেন তিনি। ২০০৯ সালে অ্যাকশন মুভি 'লাক' ছবি দিয়ে বলিউডে পদার্পণ করেন তিনি। এরপর 'দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি', 'ডি-ডে', 'রামাইয়া ভস্তাভাইয়া', 'গব্বর ইজ ব্যাক', 'রকি হ্যান্ডসাম', 'ওয়েলকাম ব্যাক'-এর মতো ছবিতে কাজ করেন তিনি।
তামান্না ভাটিয়া: তামান্না ভাটিয়াকে জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে যায় 'বাহুবলি'। তবে তার আগে তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন। তাঁর প্রথম সিনেমা ‘চাঁন্দসা রোশান চেহরা’। তিনিও কাজল আগারওয়ালের মতো বলিউড থেকেই আঞ্চলিক সিনেমায় যান। তাঁর প্রথম ছবি ‘চাঁন্দসা রোশান চেহরা’ ব্যবসায়িক সাফল্য না পেলেও তামান্না প্রশংসিত হন। ২০০৫ সালে ইন্ডিয়ান আইডল বিজয়ী অভিজিৎ সাওয়ান্তের ‘আপকা অভিজিৎ’ অ্যালবামের ‘লাফজোঁ মে’ মিউজিক ভিডিওয় তাঁকে দেখা যায়। বলিউডে 'এন্টারটেনমেন্ট' ও 'হিম্মতওয়ালা'র মতো ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।
শ্রিয়া সারন: শ্রিয়া সারন তামিল, তেলেগু ও কান্নাড় ছবির পাশাপাশি হিন্দি সিনেমাও করেছেন। অজয় দেবগনের সঙ্গে 'দৃশ্যম' তাঁকে সারা দেশের মধ্যে জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এছাড়া 'মিশন ইস্তাম্বুল', 'তুঝে মেরি কসম', 'সুক্রিয়া', 'আওয়ারাপন'-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।
তাপসী পান্নু: মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেন তাপসী পান্নু। ২০১৩ সালে অক্ষয় কুমারের বিপরীতে ‘বেবি' ছবি তাঁকে জনপ্রিয়তা এনে দেয়। সিনেমাটি ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি তাপসীর অভিনয়কেও খ্যাতি এনে দেয়। বলিউডে তিনি 'চশমে বদ্দুর', 'নাম শাবানা', 'পিংক', 'দ্য গাজি অ্যাটাক', 'জুড়ওয়া ২', 'থাপ্পড়', 'মুলক', 'বদলা', 'মিশন মঙ্গল', 'ষান্ড কি আঁখ', 'মনমর্জিয়াঁ'র মতো অনেক ছবিতে অভিনয় করেন। এখন তো তিনি মোটামুটি বলিউডের ছবিতেই অভিনয় করছেন।
রকুল প্রীত সিং: হিন্দি ছবিতে রকুল প্রীতের ডেবিউ হয় ২০১৪ সালে। প্রথম ছবি ছিল 'ইয়ারানা'। যদিও তিনি এখনও বলিউড পায়ের তলায় জমি পাকা করতে পারেননি। কিন্তু 'দে দে পেয়ার দে'র মতো ছবিতে তিনি অজয় দেবগন, টাবুর মতো অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন।
ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ: ইলিয়ানাকে খ্যাতি এনে দেয় অনুরাগ বসু পরিচালিত ছবি 'বরফি'। এটিই ছিল তাঁর বলিউডে প্রথম ছবি। এরপর 'ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো', 'ম্যায় তেরা হিরো', 'রুস্তম', 'রেড', 'বাদশাহ'র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত বলিউডে তাঁর শেষ ছবি 'পাগলপন্থি'। এরপর 'দ্য বিগ বুল' ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। এখনও ছবিটি মুক্তি পায়নি। এরপর ইলিয়েনা বলিউড তো বটেই, আঞ্চলিক কোনও ছবিতে অভিনয় করেননি। সংসারে মন দিয়েছেন তিনি।
আসিন: অভিনেত্রীর পাশাপাশি ভারতনাট্যম শিল্পী। বলিউডে আসিনের প্রথম ছবি 'গজনি'। ছবিতে আমির খানের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। অক্য কুমার, সলমন খান, অভিষেক বচ্চন, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগনের মতো অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। বলিউডে তিনি 'রেডি' 'বোল বচ্চন', 'লন্ডন ড্রিমস', 'হাউজফুল ২', 'খিলাড়ি ৪২০', 'অল ইজ ওয়েল'-এর মতো ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তাঁর বেশিরভাগ হিন্দি ছবি ১০০ কোটির ক্লাবে গিয়েছ।