মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে মুম্বই পুলিশ এবং বিহার পুলিশের মধ্যে কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিহার পুলিশের অভিযোগ, তদন্তে একেবারেই সহায়তা করছে না মুম্বই পুলিশ। বিহারের ডিজিপি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডের গলাতেও একই সুর। মঙ্গলবার তিনি মুম্বই পুলিশের সামনে এক নতুন প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। বিহারের ডিজিপির প্রশ্ন, গত ৫০ দিনের মধ্যে এই মামলায় কী করেছে মুম্বই পুলিশ?
একটি সংবাদমাধ্যের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন যে মুম্বইয়ে তদন্ত করতে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বিহার পুলিশ। তাদের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগের চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে মুম্বই পুলিশ। বিহার পুলিশের এসপি বিনয় তিওয়ারির কোয়ারেন্টাইনে থাকার আদেশ দেওয়ার জন্যও মুম্বই সিপির তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। ডিজিপি আরও যোগ করেছেন যে মুম্বই পুলিশ তো সহযোগিতা করছেই না, উলটে কাজে বাধা দিচ্ছে। বিহার পুলিশের দল মুম্বই যাওয়ার পর থেকেই তাদের ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। কার্যত লুকিয়েই কাটাতে হচ্ছে বিহার পুলিশের ৪ সদস্যের দলটিকে। সুশান্তের পরিবার এই মামলাটিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কাছে আবেদন করার পরই ডিজিপি এমন কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: নিউমোনিয়া-অ্যালার্জির ওষুধেই সারবে করোনা! দিশা দেখাচ্ছেন বাঙালি কন্যা
গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে আরও জানিয়েছেন, “মুম্বই পুলিশ জোর করে আইপিএস অফিসারকে কোয়ারেন্টাইন করে রেখেছে। মহারাষ্ট্র সরকার যদি তাদের পুলিশকে নিয়ে গর্বিত হয়, তবে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ৫০ দিনের মধ্যে তারা কী করেছে? তা বলুক। মুম্বই আমাদের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগের চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে। কিছু যে ভুল হচ্ছে, এটাই তার ইঙ্গিত।” বিহারের আইপিএস অফিসারকে কোয়ারেন্টাইন করার প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন যে তাঁর অফিসার বান্দ্রার ডিসিপির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তবে তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। বিহার পুলিশের দল সেখানে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করছিল। কিন্তু তাতেও ফল হয়নি কিছুই।
আরও পড়ুন: খোঁজ নেই রিয়ার, লুক আউট নোটিশ জারির পথে বিহার পুলিশের
রবিবার টুইট করে বিহারের আইপিএস অফিসার কোয়ারেন্টাইন হওয়ার খবর জানান বিহারের ডিজিপি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে। তিনি লেখেন, সুশান্তে বিরুদ্ধে বিহারে যে এফআইআর দায়ে হয়েছে তার তদন্ত করতে মুম্বই রওনা দেয় পুলিশের একটি টিম। সেই দলেরই সদস্য আইপিএস অফিসার বিনয় তিওয়ারি। রবিবার পাটনা থেকে মুম্বই পৌঁছন তিনি। যে দলটি মুম্বইয়ে তদন্ত করছে তারই নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পাঠানো হয় তাঁকে। কিন্তু মুম্বই পৌঁছনোর পর রাত ১১টা নাগাদ তাঁকে জোর করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। বৃহন্মুম্বই পুরসভার আধিকারিকরা এমন ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ গুপ্তেশ্বর পাণ্ডের। তিনি এও জানান, অনেক বার বলা সত্ত্বেও তাঁকে আইপিএস মেসে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে কার্যত বাধ্য হয়েই গোরেগাঁওয়ের একটি গেস্ট হাউসে থাকতে হয় তাঁকে।