মুম্বই: ক্রমশ জলঘোলা হচ্ছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্যের। এরই মধ্যে তাঁর প্রয়াত ম্যানেজার দিশার মত্যু নিয়েও উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ নারায়ণ রানের দাবি, সুশান্ত এবং তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা, দুজনই নাকি খুন হয়েছেন। দিশাকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ তাঁর।
১৪ জুন আত্মহত্যা করেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। তার কিছুদিন আগে তাঁর ম্যানেজার দিশাও আত্মহত্যা করেন। শোনা যাচ্ছিল, জিয়া খানের মতো দিশাও নাকি সুরজ পাঞ্চোলির সন্তানের মা হতে চলেছিলেন। তাই তাঁর উপর ক্রমাগত চাপ আসত। বাধ্য হয়েই আত্মহননের পথ বেছে নেন তিনি। কিন্তু রানে সম্প্রতি যে দাবি করেছেন, তা বেশ বিতর্কিত। তাঁর মতে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নাকি দিশার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুম্বই পুলিশ দু’টি ঘটনার যথাযথ তদন্ত করছে না বলেও দাবি করেন তিনি। এও বলেন কোনও ক্ষমতাশালী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের আড়াল করতেই নাকি এমন করছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: নিউমোনিয়া-অ্যালার্জির ওষুধেই সারবে করোনা! দিশা দেখাচ্ছেন বাঙালি কন্যা
সুশান্তের প্রয়াত ম্যানেজার দিশা থাকতেন মুম্বইয়ের দাদারে। ৮ জুন রাতে তিনি ও তাঁর কয়েক জন বন্ধু মালাড ওয়েস্টের একটি ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন। ফ্ল্যাটের মালিক ছিলেন দিশার প্রেমিক ও অভিনেতা রোহন রাই। সেখনেই নাকি ডিনারের পর বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করেন তিনি। এই পার্টিতে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের নাম প্রকাশের দাবি জানান রানে। তাঁর এও বক্তব্য ওই পার্টিতে সেদিন মহারাষ্ট্রের কোনও এক মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। দিশার মৃত্যু নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রাত একটা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় ১২ তলা ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে পড়ে যান তিনি।
আৎও পড়ুন: সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করুক CBI, কেন্দ্রকে সুপারিশ বিহার সরকারের
এদিকে ১৪ জুন দুপুরে নিজের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার সুশান্তের দেহ। কাকতালীয়ভাবে তার আগের দিন রাতে দিশার মতোই পার্টি করছিলেন সুশান্ত। রানের দাবি, সেই পার্টিতে কারা ছিলেন, সে তথ্যও প্রকাশ করতে হবে পুলিশকে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুজনের মৃত্যু হয়। দুজনের মৃত্যু মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে বলেও দাবি করেন রানে। তবে শুধু রানে নয়, বিহার পুলিশেরও মনে হয় দিশার মৃত্যুতে কিছু গোপন করা হচ্ছে। সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে মুম্বই এসেছে বিহার পুলিশের একটি দল। দলের সদস্যদের দাবি, মালওয়ানি থানায় দিশার ফাইল দেখতে চান তাঁরা। কিন্তু তাঁদের জানানো হয়, কেসের ফাইল নাকি ভুলবশত ডিলিট হয়ে গিয়েছে। ফাইল পুনরুদ্ধারের জন্য ল্যাপটপ চায় বিহার পুলিশ। কিন্তু তাও তাঁদের দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে সন্দেহ জোরদার হচ্ছে। তবে কি মুম্বই পুলিশ কাউকে আড়াল করতে চাইছে? নইলে এত ফাইলের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট ফাইল-ই বা হারিয়ে গেল কেন?