মুম্বই: অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যুর পর সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে উঠেছিল একাধিক অভিযোগ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সুরজ পাঁচোলি বলেছিলেন যে অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু সম্পর্কিত মামলায় মিডিয়া ট্রায়াল হয়েছে। ২০১৩ সালের জুনে জিয়া খানের আকস্মিক মৃত্যু ইন্ডাস্ট্রিতে একটি গভীর ধাক্কা দিয়েছিল। সুরজ পাঁচোলির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছিল।
মামলাটি সম্পর্কে সুরজ পাঁচোলি বলেন, “নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত আমার নিজেকে দোষী মনে হত। আমার মামলাটি কেবল একটি মিডিয়া ট্রায়াল ছিল। আমার পক্ষে সেটা হয়রানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমি ছোট। এ বছর আমার ২৯ বছর পূ্ণ হতে চলেছে। আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে জমি শক্ত করার চেষ্ট করছি। কারণ এটি আমার স্বপ্ন ছিল। রুপোর চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছি বলে নয়, ছোটবেলা থেকেই এটা আমার স্বপ্ন। সুতরাং, আমার মনে হয় যে আমার জন্য ন্যায়বিচার মঞ্জুর হয়নি। যদি আমাকে পরের বছরও বলা হয় সূর্যজ পাঞ্চোলি নির্দোষ, তাও আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি মনে করব না। কারণ ওরা আমার জীবনের আট বছর নষ্ট করেছে।”
আরও পড়ুন: নিউমোনিয়া-অ্যালার্জির ওষুধেই সারবে করোনা! দিশা দেখাচ্ছেন বাঙালি কন্যা
জিয়া খানের মা রাবিয়া খান বিষয়ে কথা বললে সুরজ বলেন, “আমি রাবিয়া খানের বিরুদ্ধে দুটি মানহানির মামলা জিতেছি। কিন্তু সে লন্ডনে বসে সাক্ষাৎকার দিচ্ছে। আদালতে হাজির হয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস তার নেই। যদি সে সত্যিই তার মেয়ের যত্ন করতেন তবে তিনি এই মামলাটি আদালতে লড়তেন। কারণ আমি আমাদের বিচারব্যবস্থায় বিশ্বাসী। আমাদের আদালত ছাড়া আমাকে আর বিচার দিতে পারে এমন আর কেউ নেই। আমি প্রতি দিন আদালতে যাই। আমি একটিও তারিখ মিস করিনি। আমার সবচেয়ে খারাপ দিনগুলিতেও আমি সেখানে গিয়েছি। আমি গত আট বছর ধরে এমন করছি। এই বড় নিউজ চ্যানেলগুলি এবং বড় রাজনীতিবিদরা আমাকে এত কিছু বলছে কারণ আমি সহজবধ্য। আট বছর হয়ে গিয়েছে। আমি এখনও এই ইন্ডাস্ট্রিতে সংগ্রাম করছি। আমি শাহরুখ খানের ছেলে নই। হ্যাঁ, আমার বাবা ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন। সেটি তাঁর সময় ছিল। তবে এখন এটি আমার নিজের যুদ্ধ। সালমান স্যার আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন। তবে তার পরে, আমার ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রমাণ করার বিষয়টি আমার ছিল। কিন্তু এই মানুষগুলি জন্য আমার ইমেজ নষ্ট হচ্ছে।” এমনকী বিনা কারণে তাঁকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সুজ পাঞ্চোলি।