মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মামলা রোজই নতুন নতুন মোড় নিচ্ছে। এবার শিবসেনা নেতা ও সাংসদ সঞ্জয় রাউতের দাবি ঘিরে উত্তেজনা দেশজুড়ে। অঊিনেতার মৃত্যু নিয়ে এক আজব দাবি করেছেন তিনি। বলেছেন, বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেননি সুশান্ত।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়ছে মুম্বই পুলিশ। এই মামলায় যখন সিবিআই তদন্তের দাবি উঠছিল, তখনও সুপ্রিম কোর্টে চার বিরোধিতা করে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের মুখে পড়ে মহারাষ্ট্র সরকার। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই রবিবার সুশান্তের পরিবারকে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেন শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় রাউত জানান, সুশান্তের বাবার দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। তা মেনে নিতে পারেনি সুশান্ত। আর সেই কারণেই বাবার সঙ্গে সম্পর্ক মোটেই ভাল ছিল না অভিনেতার। কথা প্রসঙ্গেই তিনি প্রশ্ন তোলেন কতবার পটনায় গিয়ে সুশান্ত তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করেছেন? এখানেই শেষ নয়। সুশান্তের প্রাক্তন বান্ধবী অঙ্কিতা লোখান্ডেকেও আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর মতে সুশান্তের সঙ্গে অঙ্কিতার বছর ছয়েক সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তারপর কেন অঙ্কিতার সঙ্গে ব্রেক-আপ করেছিলেন সুশান্ত, তাও তদন্ত হওয়া উচিত বলে জানান তিনি। তাঁর মতে একটা আত্মহত্যার সঙ্গে রাজনীতিকে জড়ানো উচিত নয়।
আরও পড়ুন: গোপনে বিয়ে করছেন মিমি? কনের সাজে ভাইরাল ছবি! দেখুন ছবি
তবে সঞ্জয় রাউতের দাবি করা সুশান্তের বাবার দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। জানা গিয়েছে ২০০২ সালে সুশান্তের মা ঊষাদেবীর মৃত্যু হয়। তারপর মোটেই বিয়ে করেননি কে কে সিং। পাঁচ সন্তানের দায়িত্ব নিজেই সামলেছেন তিনি। ফলে সঞ্জয়ের দাবি যে সম্পূর্ণ ভুয়ো সে নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার পিছনে কেন্দ্রের ষড়যন্ত্র দেখছেন তিনি। তাঁর মতে মহারাষ্ট্র সরকারকে চাপে ফেলতেই নাকি এমন পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র সরকার। তাঁর মতে, সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে যেন কোনও চিত্রনাট্য লেখা হচ্ছে। আর গোটাটাই মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। মুম্বই পুলিশকে নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে, তারও বিরোধিতা করেন তিনি। বলেন বিশ্বের সেরা তদন্তকারী সংস্থার তকমা দেওয়া উচিত মুম্বই পুলিশকে। তাদের পেশাদারিত্ব নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। মুম্বই পুলিশের পেশাদারিত্বের ফলেই যে ২৬/১১ মুম্বই হামলার সন্ত্রাসবাদী আজমল কাসাব ধরা পড়েছিল, তাও মনে করিয়ে দেন তিনি।