মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। এর পিছনে যে বলিউডের স্বজনপোষণ নীতি দায়ী তা মনে করছেন অনেকে। তাদের মতে, হতাশা ও অবসাদে ডুবেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন অভিনেতা। কিন্তু সুশান্তের বন্ধু কুশল জাভেরি কিন্তু অন্য কথা বললেন। তাঁর মতে সুশান্তের মতো মানুষ হতাশায় ডুবতে পারেন না। এই মর্মে একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও পুলিশকে দেখিয়েছেন তিনি।
সুশান্তের মৃত্যুর ১৩ দিন আগে কুশলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। দিনটা ছিল ১ জুলাই। কুশলকে মেসেজ করেছিলেন সুশান্ত। লিখেছিলেন, 'কেমন আছো? নিষ্চয়ই সুস্থ আর ভাল আছো। মিস করছি তোমায়। জয় শিব শম্ভু।' উত্তরে ২ জুলাই কুশল লিখেছিলেন, 'তোমার খবর পেয়ে ভাল লাগল। সব ঠিক আছে। কিন্তু সবার জন্য স্ট্রাগল চলছে। আমিও ব্যতিক্রম নই। আশা করি তোমরাও ভাল আছো।' উত্তরে সুশান্ত লিখেছেন, 'আমি আধ্যাত্মিক ভাবে নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করছি। আমাদের সেইসব সোনালি দিনের কথা খুব মনে পড়ে। কী মূল্যবান ছিল সেইসব দিনগুলো। যেসব কাজগুলো আমরা একসঙ্গে করেছি তার জন্য আমি গর্বিত। সেগুলো করে যেতে চাই যাতে আমরা সবসময় একসঙ্গে থাকতে পারি।' উত্তরে কুশল লেখেন, 'সত্যিই দিনগুলো সোনালি ছিল। আমি আর সিড সেই কথাই বলি।'
কুশল জাভেরি জানান, সুশান্ত অবসাদে ছিলেন, সেটা সম্ভব নয়। তিনি যখন সুশান্তের সঙ্গে থাকতেন তখন কিন্তু সুশান্ত কোনও ওষুধ খেতেন না। দিদিদের সঙ্গেও বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল সুশান্তের। তাঁর চিন্তা ভাবনা অন্যরকম ছিল। আগামীতে তিনি কী কী করতে চান তা লিপিবদ্ধ করে রাখতেন। এমন মানুষ কোনওভাবেই অবসাদগ্রস্ত হতে পারেন না বলে মত কুশলের। সুশান্তের বাবার দায়ের করা মামলায় সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে পাটনার রাজীবনগর থানায় তিনি এফআইআর দায়ের করেন। অভিযোগে জানানো হয় সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক মাসে কয়েক কোটি টাকার অর্থ নয়ছয় হয়েছে। আর এর পেছনে প্রধান কারণ রিয়া। এই অভিযোগের পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে ইডি।