নিজস্ব প্রতিবেদন: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন পণ্ডিত যশরাজ। ভারতীয় ধ্রুপদী ঘরানার সঙ্গীত জগতের নক্ষত্র ছিলেন তিনি। সোমবার, ৯০ বছর বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেহাবসান ঘটে যশরাজের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি একাধিক ব্যাক্তি যশরাজের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়েছেন।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতে একজন গায়ক হিসাবে পা রাখেন পণ্ডিত যশরাজ। প্রথমে তিনি তাঁর দাদা পণ্ডিত প্রতাপ নারায়নের হাত ধরে তবলা বাদ্যযন্ত্র বাজাতে শিখেছিলেন। এরপর নিজের বাবার ছত্রছায়ায় একজন গায়ক হিসাবে ধ্রুপদী সঙ্গীতে প্রবেশ করেন যশরাজ। সারাদিনে ১৪ ঘণ্টা রেয়াজ করতেন পণ্ডিত যশরাজ।
১৯৩০ সালের ২৮ জানুয়ারি ভারতের হরিয়ানার পিলি মান্দোরিতে যশরাজ জন্ম গ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ওপর গভীর আকর্ষন ছিল তাঁর। প্রথমে বাবা পণ্ডিত মতিরামের কাছেই তালিম নেন যশরাজ। বাবার মৃত্যুর পর দাদার কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পথকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান। দীর্ঘ ৮০ বছর পণ্ডিত যশরাজ ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতকে নিজের মধ্যে ধারণ করেছিলেন। সারাজীবনে বিভিন্ন সম্মান ও পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। ১৯৮৭ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস এর পাশাপাশি পদ্মভূষণ (১৯৯০), পদ্মশ্রী (১৯৭৫), পদ্মবিভূষণ (২০০০), ইত্যাদি সম্মান পেয়েছেন তিনি।
সোমবার অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পণ্ডিত যশরাজের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, “ভারতীয় সংস্কৃতির ধ্রুপদী সঙ্গীতের ক্ষেত্রে পণ্ডিত যশরাজ একজন নক্ষত্র ছিলেন। তাঁর চলে যাওয়া গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। তাঁর অমর রচনাগুলি শুধুমাত্র অসামান্য নয়, তিনি একাধিক কন্ঠশিল্পীর গুরু হিসাবে পরিচিত ছিলেন।”