মুম্বই: সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে জাহ্নবী কাপুর অভিনীত ছবি 'গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল'। আর মুক্তির পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে ছবিটি। কিছু দিন আগে ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনী সেন্সর বোর্ডকে এই ছবিতে কিছু আপত্তিকর দৃশ্যের জন্য চিঠি পাঠিয়েছিল। আর এবার গুঞ্জন সাক্সেনার সহচর পাইলট শ্রীবিদ্যা রাজন ছবিটি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন।
ফেসবুকে এই নিয়ে একটি দীর্ঘ লেখা লিখেছেন তিনি। শ্রীবিদ্যা রাজন জানিয়েছেন, 'গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল' ছবিতে ছবির ক্লাইম্যাক্সে যা দেখানো হয়েছে তা একেবারেই সত্যি নয়। এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি কখনও। তিনি নির্মাতাদের বিরুদ্ধে সত্যকে বিকৃত করার অভিযোগ এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন ১৯৯৬ সালে তিনি গুঞ্জন সাক্সেনার সঙ্গে উধমপুরে পোস্টেড ছিলেন। ছবিতে দেখানো হয়েছে যে ওই ইউনিটে একমাত্র মহিলা অফিসার ছিলেন গুঞ্জন সাক্সেনা। তা নয় একেবারেই। এছাড়া ছবিতে দেখানো হয়েছে যে গুঞ্জন সাক্সেনা নাকি ইউনিটের অনেকের থেকে খারাপ ব্যবহার পেয়েছিলেন। তাঁকে একজন মহিলা অফিসার হিসেবে অনেকেই গ্রহণ করতে চাননি। শ্রীবিদ্যা রাজন বলেছেন এমন যে একেবারেই ঘটেনি তা নয়। কয়েকজন সহকর্মীর কাছ থেকে তাঁরা কুসংস্কার ও গোঁড়া মনোভাব পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের সমর্থন করার মতো পর্যাপ্ত আধিকারিক ছিলেন। আর তার কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বিমান ওড়ানোর ট্রেনিং শুরু হয়ে গিয়েছিল। ছবিতে যে রকম দেখানো হয়েছে সে রকম কোনও কারণে কখনওই তাঁদের ট্রেনিং বাতিল করে দেওয়া বা পিছিয়ে দেওয়া হয়নি।
বায়ুসেনার এই মহিলা অফিসার স্পষ্ট লিখেছেন, “সিনেমায় যেমন দেখানো হয়েছে তেমন কোনও অবমাননাকর শারীরিক শক্তি প্রদর্শনের মুখোমুখি আমরা হইনি। আমাদের সহকর্মী অফিসাররা কখনও আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি বা আমাদের অপমানিত করেননি। ছবিতে দেখানো হয়েছে কার্গিল অপারেশনে একমাত্র গুঞ্জন সাক্সেনা ছিলেন মহিলা পাইলট। সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। আমরা একসঙ্গে উধমপুর উপস্থিত ছিলাম। কারগিল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে আমি ছিলাম প্রথম মহিলা পাইলট যাকে অন্যান্য অনেক পুরুষের সঙ্গে শ্রীনগরে মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষের এই এলাকায় আমি মিশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তার কিছু পরেই গুঞ্জনকে সেখানে আনা হয়। কয়েকটি অপারেশন হয়ে যাওয়ার পরের ব্যাচের সঙ্গে গুঞ্জন শ্রীনগরে আসেন।” শ্রীবিদ্যা রাজন আরও লিখেছেন গুঞ্জন তাঁর খুব ভাল বন্ধু। তাঁর মনে হয় গুঞ্জন যা বলেছিলেন সেই সত্যকে নির্মাতারা বিকৃত করেছেন। কেবল প্রচারের জন্য ইচ্ছেমতো কাহিনি ঢুকিয়েছেন তাঁরা।