মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পর থেকে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। তাঁর আত্মহত্যার দিন সাতেক আগে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর ম্যানেডার দিশা সালিয়ানের। দুই মৃত্যুর মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে কিনা, বারবার তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এবার সেই জল্পনা উসকে দিল একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট।
মাস দুয়েক আগে ১৪ জুন বান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাটে ফাঁসি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন অভিনেতা সুশান্ত। তার আগে ৮ জুন নিজের ফ্ল্যাট থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন সুশান্তের ম্যানেজার দিশা। তাঁদের মধ্যে প্রায়ই কাজ নিয়ে কথাবার্তা হত। সম্প্রতি যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সামনে এসেছে, তা থেকেও একথা প্রমাণিত। চ্যাটটি এই বছরের এপ্রিল মাসের। তখন দুজনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হত। নতুন কাজের অফার নিয়ে আলোচনা হত তাঁদের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে টেলিভিশন কমার্শিয়াল নিয়েও কথা হয়েছিল। চ্যাট থেকে জানা গিয়েছে বিভিন্ন সংস্থার থেকে নাকি অফার পেয়েছিলেন সুশান্ত। সেসব নিয়েও তাঁদের মধ্যে কথা হত বলে খবর। প্রথমে পাবলিক রিলেশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করলেও পরে বলিউডের উঠতি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। বান্টি সাজদেহর কর্নারস্টোন স্পোর্ট অ্যান্ট এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
১৪ জুন আত্মহত্যা করেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। তার কিছুদিন আগে তাঁর ম্যানেজার দিশাও আত্মহত্যা করেন। শোনা যাচ্ছিল, জিয়া খানের মতো দিশাও নাকি সুরজ পাঞ্চোলির সন্তানের মা হতে চলেছিলেন। তাই তাঁর উপর ক্রমাগত চাপ আসত। বাধ্য হয়েই আত্মহননের পথ বেছে নেন তিনি। কিন্তু রানে সম্প্রতি যে দাবি করেছেন, তা বেশ বিতর্কিত। তাঁর মতে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নাকি দিশার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুম্বই পুলিশ দু’টি ঘটনার যথাযথ তদন্ত করছে না বলেও দাবি করেন তিনি। এও বলেন কোনও ক্ষমতাশালী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের আড়াল করতেই নাকি এমন করছে প্রশাসন।
দিশা সালিয়ান তাঁর বন্ধুবান্ধব ও বাগদত্তের সঙ্গে পার্টি করছিলেন। প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল সেবন করার পরে তিনি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। তিনি নাকি বলেছিলেন যে, কেউ আর কারও যত্ন নেন না। পার্টিতে উপস্থিত এক বন্ধু দিশাকে এসব বন্ধ করতে বলে। তার পরে দিশা তাঁর শোওয়ার ঘরে গিয়ে নিজেকে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন। কিছুক্ষণ পরে যখন দরজা ধাক্কা দেওয়ার পরও দিশা দরজা খুলছিলেন না তখন তাঁর ফিয়াসেঁ এবং বন্ধুরা দরজাটি ভেঙে ফেলেন এবং দেখতে পান যে দিশা বারান্দা থেকে পড়ে গিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে নীচে দৌড়ে যান তাঁরা। নীচে পৌঁছনোর পর দেখা যায় দিশা জীবিত ছিলেন। বন্ধুরা দিশাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।