নয়াদিল্লি: বুধবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের সঙ্গে সুশান্তের বাবা ছেলের উত্তরাধিকার নিয়েও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন৷
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের আবেদনকে প্রাধান্য দিয়ে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে গেলে তাদের কোনও আপত্তি নেই। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অবশেষে এই মামলা সিবিআইয়ের হাতেই বর্তালো। আদালতের তরফে বিচারপতি জানিয়েছেন, সুশান্ত মুম্বইয়ের একজন প্রতিভাবান অভিনেতা ছিলেন। প্রতিভাকে সম্পূর্ণ ভাবে মেলে ধরার আগেই সুশান্তের মৃত্যু ঘটেছে। দেশ জুড়ে সুশান্তের ভক্ত তথা পরিবারের লোকজন তাঁর মৃত্যুর তদন্তের চূড়ান্ত ফলাফল জানতে অধীর অপেক্ষা করেছেন। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থেই এই মামলা সিবিআইকে দেওয়া হল।
অন্যদিকে একটি বিবৃতি দিয়ে এদিন সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কেকে সিং জানালেন, সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই আইনজীবি, চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও অন্যান্য প্রফেশনালদের সঙ্গে হওয়া সুশান্তের কাজের চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। কেকে সিং আরও বলেন, বর্তমানে সুশান্তের একমাত্র উত্তরাধিকারি তিনি নিজে এবং তাঁর মেয়েরা। এর বাইরে যদি অন্য কেউ নিজেকে সুশান্তের পরিবারের লোক বলে দাবি করেন, সেক্ষেত্রে কেকে সিং ও তাঁর পরিবারের সম্মতি নেই বলে ধরে নিতে হবে। বিবৃতিতে সুশান্তের বাবা স্পষ্ট করে লিখেছেন, “আমার এবং আমার পরিবারের যৌথ সিদ্ধান্তেই বরুণ সিং'কে আমাদের আইনজীবি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বরুণ সিং এর হয়ে আমাদের পরিবারকে তুলে ধরবেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট বিকাশ সিং।”
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর পেরিয়ে গিয়েছে দুমাসেরও বেশি সময়। অবশেষে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই সুশান্তের মৃত্যু মামলার ভার নেওয়ায় নিরপেক্ষ তদন্তের দরজা খুলে গেছে। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত, অঙ্কিতা লোখাণ্ডের পাশাপাশি অভিনেতা অক্ষয় কুমারও সত্যকে সামনে নিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন #জাস্টিস_ফর_সুশান্ত এই স্লোগান। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মুম্বই ও বিহার পুলিশ এই মামলায় ৫০ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে। নিজেদের কাজের স্বার্থে সিবিআইকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে বলে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।