মুম্বই: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সুশান্ত মৃত্যু তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিবিআই৷ ইতিমধ্যেই দেশের বাণিজ্যনগরীতে অভিনেতার মৃত্যু রহস্যের সন্ধানে নেমেছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা৷ তদন্তের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মুম্বই পুলিশের থেকে সমস্ত নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই৷ সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়েছে সুশান্তের রাঁধুনিকে৷ সিবিআই যখন প্রথম দফায় তদন্ত শুরু করেছে, ঠিক তখন রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবার আইনজীবী৷
সুশান্ত মৃত্যুরহস্যে চাঞ্চল্যকর মোড়৷ সুশান্তের মৃত্যুর দিন মর্গে গিয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী৷ সেখানে প্রায় ৪৫ মিনিট ছিলেন তিনি৷ চাঞ্চল্যকর দাবি তুলেছেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবার আইনজীবী৷ রিয়ার সঙ্গে সুশান্তের কোন সম্পর্ক ছিল না৷ তাহলে কেন রিয়াকে মর্গে যাওয়ার অনুমতি দিল পুলিশ? রিয়া চক্রবর্তীর মর্গে যাওয়ার ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন সুশান্তের বাবার আইনজীবী৷ গোটা ঘটনাটি সিবিআইয়ের নজরে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সুশান্তের পরিবার৷
অন্যদিকে, সিবিআই-এর অপর একটি দল এসপি ব়্যাঙ্কের এক অফিসারের নেতৃত্বে বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে পৌঁছয়৷ এই থানাতেই অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ রিপোর্ট নথিভুক্ত করা হয়েছিল৷ সেখান থেকে কেস ডায়েরি, প্রয়োজনীয় নথি এবং সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সংগ্রহ করেন তাঁরা৷ এছাড়াও সুশান্ত মামলার তদন্ত দলের নেতৃত্বে থাকা মুম্বই পুলিশের ডিসিপি অভিষেক ত্রিমুখের সঙ্গেও কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মামলায় জড়িতদের বয়ানও রেকর্ড করবে তদন্তকারী দল৷ পাশাপাশি সুশান্তের আর্থিক লেনদেনের দিকটিও খতিয়ে দেবেন সিবিআই অফিসাররা৷ সিবিআইয়ের ওই তদন্তকারী দলের সঙ্গে থাকা সেন্ট্রাল ফরেন্সেকক সায়েন্স ল্যাবরেটরির ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা মুম্বইয়ে অভিনেতার বাড়ি ঘুরে দেখবেন। তবে দৃঢ় প্রমাণ ছাড়া কোনও সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হবে না বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা৷
গত ১৪ জুন মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় সুশান্ত সিং রাজপুতকে। প্রাথমিক তদন্তের পর মুম্বই পুলিশ জানায় যে, আত্মহত্যা করেছেন অভিনেতা। যদিও ছেলের মৃত্যুর জন্য সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে দায়ী করে মামলা করেন সুশান্তের বাবা৷ এছাড়াও সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও তাঁকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও আনেন রিয়ার বিরুদ্ধে৷ সুশান্তের বাবার করা টাকা তছরুপ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রিয়া চক্রবর্তী ও আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।