ধর্ষণ ও খুনের হুমকি পূজাকে, ভাট ক্যাম্পের বিরুদ্ধে নেটিজেনদের রোষ অব্যাহত

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে উঠছে স্বজনপোষণের অভিযোগ। শোনা যাচ্ছিল যে 'সড়ক ২' তে নাকি সুশান্তের অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু ভাট ক্যাম্পের তরফে অভিনেতাকে বাদ দেওয়া হয়। নেওয়া হয় আদিত্য রয় কাপুরকে। আর তারপর থেকেই ফুঁসে ওঠেন নেটিজেনরা। নেটিজেনদের সেই রাগ এখনও অব্যাহত। আর এই রাগের কারণেই পূজা ভাটকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণ ও খুনের হুমকি পেতে হল।
 

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে উঠছে স্বজনপোষণের অভিযোগ। শোনা যাচ্ছিল যে 'সড়ক ২' তে নাকি সুশান্তের অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু ভাট ক্যাম্পের তরফে অভিনেতাকে বাদ দেওয়া হয়। নেওয়া হয় আদিত্য রয় কাপুরকে। আর তারপর থেকেই ফুঁসে ওঠেন নেটিজেনরা। নেটিজেনদের সেই রাগ এখনও অব্যাহত। আর এই রাগের কারণেই পূজা ভাটকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণ ও খুনের হুমকি পেতে হল।

ইনস্টাগ্রামে পূজাকে ধর্ষণ ও খুনের করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পূজার মত, ইনস্টাগ্রাম এখন ওপেন প্ল্যাটফর্ম হয়ে গিয়েছে। যে কোনও মানুষই তাদের বক্তব্য প্রকাশ করতে পারে। আর সেই কারণেই সেখানে শালীনতার কোনও সীমা পরিসীমা নেই। তবে এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত সাইবার সেলের কাছে কোনও রকম অভিযোগ জানাননি পূজা। উল্টে তিনি জানিয়েছেন, যারা ইনস্টাগ্রামে এমন পোস্ট করে তাদের ঘৃণা করার মত সময় তাঁর কাছে নেই। বরং যাঁরা তাঁকে ভালবাসেন তিনি সেই সমস্ত মানুষদের বেশি করে সময় দিতে চান। তিনি এতদিন ভাবতেন যাঁরা তাঁকে ভালোবাসেন তাঁরা তাঁর সমালোচনাও করতে পারেন। সেই অধিকার তাঁদের রয়েছে। কিন্তু এই ধারণা পাল্টে গিয়েছে পূজার। তার মনে হচ্ছে কাউকে ধর্ষণ বা খুনের হুমকি দেওয়া সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকাল। আর সেটি বন্ধ করতে তিনি সাইবের সেল অভিযোগ জানানোর পরিবর্তে নিজের অ্যাকাউন্টে প্রাইভেট করে দেন।

এর আগে মহেশ ভাটের আরও দুই মেয়ে সেহিন ভাট ও আলিয়া ভাটও খুন ও ধর্ষণের হুমকি পেয়েছিলেন। একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে শাহিন বলেছিলেন ভারতে প্রতি ১৫ মিনিটে একজন নারী ধর্ষিত হয়। প্রায় ৭০ শতাংশ মহিলা গার্হস্থ্য হিংসা শিকার। প্রতি ৯ মিনিটে কোন না কোন মহিলা তার স্বামী বা শ্বশুরবাড়ি লোকের থেকে নৃশংস ব্যবহার পান। এরপরই শাহিন জানিয়েছিলেন যদি ভবিষ্যতে তাকে এইরকম ম্যাসেজ আরো করা হয়, তাহলে তিনি সরাসরি আইনের পথ ধরবেন। হুমকির স্ক্রিনশট নিয়ে তিনি পাঠাবেন ইন্সটাগ্রাম কর্তৃপক্ষকে। তারপর ওর ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হবে। এবং ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ম মেনে সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করা এখন খুব একটা বড় ব্যাপার নয়। প্রয়োজন হলে সাইবার সেলের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন শাহিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *