মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানের স্বঘোষিত এক তান্ত্রিক মোহন সদাশিব যোশীকে ডেকে পাঠিয়েছিল বান্দ্রা পুলিশ। পরে অবশ্য স়ংবাদ মাধ্যমে নিজেই পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন সেই তান্ত্রিক। সুশান্তের মানসিক চিকিৎসার দায়িত্ব তাঁর হাতেই তুলে দিয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। এবার এই তন্ত্রমন্ত্রের বিষয়ে আলোকপাত করলেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সুশান্ত ও রিয়ার দুজনেরই ঘনিষ্ঠ এক বান্ধবী।
রবিবার 'টাইমস নাও'য়ের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দুজনের সম্পর্কের মধ্যে অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক কিছু একটা চলছিল। তাঁর আরও দাবি যে, রিয়া সবসময় অলৌকিক শক্তির চান্তাভাবনা ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন সুশান্তের মাথায়। তিনি এও জানিয়েছেন যে প্রায়ই সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে পার্টি চলত। সেখানে দুজনকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর কথাতেও এর পরিষ্কার উল্লেখ পাওয়া গেছে যে সুশান্তের কর্মজীবন ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলি রিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল। তাঁর কথায়, একদিকে রিয়া যেমন অলৌকিক শক্তির চিন্তাভাবনায় ভরিয়ে তুলতেন সুশান্তের মন-মানসিকতা, অন্যদিকে সুশান্তের ওষুধপত্র সরবরাহ করতেন এই অভিনেত্রীরই বাবা।
এর আগে এদিনই সুশান্তের ব্যক্তিগত এক কর্মচারীকে অভিনেতার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে ঠেকে আরও একদফা জিজ্ঞাসাবাদ চালায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই দল। এছাড়াও তদন্তের জন্য 'ওয়াটার স্টোন' নামে একটি রিসর্টেও যান তাঁরা, সেখানে ঘন্টা দুয়েক সময় কাটিয়েছেন তাঁরা। মৃত্যুর আগে একসময় সেখানে দুমাস ছিলেন সুশান্ত। রিসর্টে থাকাকালীন অভিনেতার আচরণ কেমন ছিল মূলত সে বিষয়ে খোঁজ খবর নিতেই সেখানে গেছিল তদন্তকারী সিবিআই দলটি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সিদ্ধার্থ পিঠানি যিনি সুশান্তের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন, একইসঙ্গে অভিনেতার দুই ব্যক্তিগত কর্মচারী নীরজ সিং এবং দীপেশ সাওয়ন্তের বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় এদিন তাঁদের দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।