মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা পরই ময়নাতদন্ত সুশান্তের, চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল রিপোর্টে

মুম্বই: দিন যত এগোচ্ছে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্যের জট তত পাকাচ্ছে। অভিনেতার মৃত্যুর তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে  তারা। এর মধ্যে শোনা গেল ফরেনসিক রিপোর্টে রয়েছে গলদ। অভিনেতার মৃত্যুর ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা পরে নাকি হয়েছে ময়নাতদন্ত।

মুম্বই: দিন যত এগোচ্ছে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্যের জট তত পাকাচ্ছে। অভিনেতার মৃত্যুর তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে  তারা। এর মধ্যে শোনা গেল ফরেনসিক রিপোর্টে রয়েছে গলদ। অভিনেতার মৃত্যুর ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা পরে নাকি হয়েছে ময়নাতদন্ত।

১৪ জুন দুপুরবেলা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার খবর প্রকাশ্যে আসে। তারপর থেকে জল্পনা শুরু হয় সত্যিই আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত? নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে? জল্পনার পিছনে ছিল একাধিক কারণ। সেগুলো আবার নতুন করে উঠে আসছে। অভিনেতার মৃত্যুরহস্যের উত্তর খুঁজতে সিবিআই ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। অভিনেতার ফরেনসিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে মৃত্যুর ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা পর তার দেহের পোস্টমর্টেম করা হয়। অথচ মুম্বই পুলিশ যে প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি করেছিল সেখানে কোনও সময় উল্লেখ ছিল না। এই নিয়ে আগে সুশান্তের বাবার আইনজীবী বিকাশ সিং আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন। এছাড়া আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসছে। তা হল সুশান্তের ম্যানেজার দিশা সালিয়ান মৃত্যুর তিন দিন পর তাঁর ময়নাতদন্ত হয়েছিল। তাহলে সুশান্তের ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা পরই কেন ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? সুশান্ত যে কাপড়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল সেই কাপড় অন্তত ২০০ কিলোগ্রাম ওজন ধরে রাখতে পারে।

এদিকে সিবিআই তদন্ত শুরু করার পর ফরেনসিক এভিডেন্স চেয়ে পাঠিয়েছে। তবে ভিসেরার জন্য দেহে প্রায় ৮০ শতাংশ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবহার করা হয়ে গিয়েছে বলে খবর। তবে ফরেনসিক এক্সপার্ট জানিয়েছেন ৮০ শতাংশ অর্গান অ্যানালিসিস এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট সংরক্ষিত রয়েছে কিন্তু এর মধ্যে কোন কিছুই পাওয়া যায়নি। সমস্ত নমুনা সংরক্ষিত রয়েছে। দ্বিতীয়বার অ্যানালিসিস করতে হলে সেই সমস্ত নমুনাগুলি ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *