বান্দ্রার ফ্ল্যাটে ডেকে রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই, পাঠানো হতে পারে শমন

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত হাতে নিয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তারা মধ্যে রয়েছে সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, সুশান্তের রাঁধুনি নীরজ সিংহ এবং সুশান্তের সহযোগী দীপেশ সাওয়ান্ত। এবার রিয়া চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেতে চলেছে সিবিআই। শোনা যাচ্ছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে পাঠানো হবে নোটিস। তাঁকে বান্দ্রার ফ্ল্যাটে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর। তবে রিয়ার তরফে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত তিনি শমন পাননি।তবে সিবিআই ডাকলে তিনি যাবেন বলে জানিয়েছেন রিয়া।

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত হাতে নিয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তারা মধ্যে রয়েছে সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, সুশান্তের রাঁধুনি নীরজ সিংহ এবং সুশান্তের সহযোগী দীপেশ সাওয়ান্ত। এবার রিয়া চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেতে চলেছে সিবিআই। শোনা যাচ্ছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে পাঠানো হবে নোটিস। তাঁকে বান্দ্রার ফ্ল্যাটে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর। তবে রিয়ার তরফে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত তিনি শমন পাননি।তবে সিবিআই ডাকলে তিনি যাবেন বলে জানিয়েছেন রিয়া।

শনিবার ও রবিবার পরপর দু'দিন সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে যায় সিবিআইয়ের টিম। অভিনেতার ঘরের ম্যাপিং ও ভিডিওগ্রাফি করা হয়। এছাড়া সুশান্তের ফ্লাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানি, রাঁধুনি নীরজ সিংহ এবং সহযোগী দীপ্তেশ সাওয়ন্তকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। ১৪ জুন যখন ফ্ল্যাট থেকে অভিনেতা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তখন এই তিনজনের সেখানে ছিলেন বলে সূত্রের খবর। সিবিআইকে নীরজ জানিয়েছেন মৃত্যুর আগে প্রায় পাঁচ মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন সুশান্ত। সম্ভবত সেই কারণে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত এখনও জানায়নি সিবিআই। রবিবার সিদ্ধার্থ পিঠানি এবং নীরজ সিংহকে সামনাসামনি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এছাড়া সিদ্ধার্থ এও জিজ্ঞাসা করা হয় কেন রিয়া ফ্ল্যাট ছেড়ে গিয়েছিলেন? যদিও তার উত্তরে সিদ্ধার্থ কী বলেছেন তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।

এদিকে সুশান্ত রিয়ার সম্পর্ক ভাঙার পেছনে মহেশ ভাটের হস্তক্ষেপ ছিল বলে অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছে। সম্প্রতি রিয়া ও মহেশের একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সামনে আসার পর তা আরও বেড়েছে। ওই চ্যাটে রিয়া মহেশ ভাটকে লিখেছিলেন, “ভারী মন ও মুক্তির কথা ভেবে আয়েশা মুভ অন করেছে। আমাদের শেষ ফোন কল ছিলো ওয়েক আপ কল। আপনি আমার ভগবান ছিলেন এবং থাকবেন।” এর উত্তরে মহেশ ভাট লিখেছেন, “পিছনে তাকিও না। তোমার বাবাকে আমার ভালোবাসা দিও। উনি খুশি হবেন।” উত্তরে রিয়া লিখেছেন “সেদিন আপনি আমার বাবার সম্পর্কে ফোনে যা বলেছিলেন তা ওর প্রতি শক্ত হতে আমাকে সাহায্য করেছিল।” এরপর মহেশ ভাট লিখেছেন, “ইউ আর মাই চাইল্ড।” এরপর রিয়া লিখেছেন সবচেয়ে বেশি অনুভূতি আমার আছে আপনার জন্য। ভাগ্যকে ধন্যবাদ যে সে আমাকে আপনার সঙ্গে দেখা করিয়েছে। আপনি আমাকে যা যা বলেছেন তা আমার কানের মধ্যে এখনো প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।” মবেশ ভাটের সঙ্গে রিয়ার এই কথোপকথন থেকে পরিষ্কার রিয়ার জীবনে মহেশ ভাটের কতটা প্রভাব ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − four =