মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, রাঁধুনি নীরজ সিংহ ও পরিচারক দীপেশ সাওয়ন্তকে। সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে একাধিকবার গিয়েছে সিবিআই। তবে এরই মধ্যে সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানকে ঘিরে একটা নতুন তথ্য সামনে এল। জানা গেল দিশার মৃত্যুর পর ১০ দিন সচল ছিল তাঁর মোবাইল ফোন।
১৪ জুন নিজের ফ্ল্যাটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। তার ৬ দিন আগে ৮ জুন রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়। সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে একটি বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি জানা গিয়েছে তাঁর মৃত্যুর পর আরও ১০ দিন তাঁর মোবাইল ফোন অ্যাকটিভ ছিল। ৯ থেকে ১৭ জুনের মধ্যে বেশ কয়েকটি ইন্টারনেট কল করা হয় দিশার মোবাইল থেকে। তবে কে সেই কল করেছেন বা কাদের মধ্যে কথা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এও জানা গিয়েছে ৬ জুন মৃত্যুর দু'দিন আগে তিনটি ইন্টারনেট কল করা হয়। এরপর ৭ জুন রাত্রি ১২.০২ মিনিটে এবং ১২.৫৭ মিনিটে দুটি ইন্টারনেট কল করা হয়। দিশার ফোন থেকে মোট ৩৬টি ইন্টারনেট কল করা হয়েছিল বলে খবর। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে মৃত্যুর পর যখন পুলিশে খবর দেওয়া হয়, পুলিশ এসে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যায় কিন্তু তার বাজেয়াপ্ত করেনি পুলিশ।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দিশা সালিয়ান তাঁর বন্ধুবান্ধব ও বাগদত্তের সঙ্গে পার্টি করছিলেন। প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল সেবন করার পরে তিনি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। তিনি নাকি বলেছিলেন যে, কেউ আর কারও যত্ন নেন না। পার্টিতে উপস্থিত এক বন্ধু দিশাকে এসব বন্ধ করতে বলে। তার পরে দিশা তাঁর শোওয়ার ঘরে গিয়ে নিজেকে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন। কিছুক্ষণ পরে যখন দরজা ধাক্কা দেওয়ার পরও দিশা দরজা খুলছিলেন না তখন তাঁর ফিয়াসেঁ এবং বন্ধুরা দরজাটি ভেঙে ফেলেন এবং দেখতে পান যে দিশা বারান্দা থেকে পড়ে গিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে নীচে দৌড়ে যান তাঁরা। নীচে পৌঁছনোর পর দেখা যায় দিশা জীবিত ছিলেন। বন্ধুরা দিশাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।