মুম্বই: সুশান্ত মৃত্যু মামলায় তদন্তের শুরু থেকেই একের পর একাধিক অসঙ্গতি থাকায় অবশেষে তদন্তের দায়িত্বভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আর এরপর থেকেই আরও একাধিক বড়সড় অসঙ্গতি প্রকাশ্যে আসছে।
মঙ্গলবার এমনই আরও এক খবর প্রকাশ্যে এর। জানা যাচ্ছে যে সুশান্তের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন তাঁর যে বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, তিনি সুশান্তের ঝুলন্ত মৃতদেহ নামিয়ে আনার বিষয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যে তথ্য দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে এমনটাই জানিয়েছেন প্রয়াত অভিনেতার একান্ত ঘনিষ্ঠ এক পারিবারিক সদস্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই ব্যক্তি জানিয়েছেন “মিডিয়ায় প্রকাশিত পিঠানির যে বক্তব্য উঠে এসেছে তাতে বলা হয়েছে পরিবারের সদস্যদের অনুরোধেই সুশান্তের মরদেহ নামানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা।”
তিনি জানিয়েছেন, সুশান্তের মৃত্যুর দিন অর্থাৎ১৪ জুন, করোনা পরিস্থিতির কারণে অভিনেতার পরিবারের সদস্যরা সন্ধ্যায় একটু দেরিতেই দিল্লী থেকে মুম্বাই পৌঁছেছিল এবং ততক্ষণে সুশান্তের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ওইদিন মুম্বই পুলিশ বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে সুশান্তের মৃতদেহ কুপার হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল দিনের বেলায়। সূত্রের মতে, ময়নাতদন্ত সেদিন রাত ১১ টা থেকে শুরু হয়েছিল এবং এত দেরিতে ময়না তদন্ত কেন? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
কীভাবে ফ্ল্যাট থেকে সুশান্তের ঘরের চাবিটি নিখোঁজ হয়ে গেল তার নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই পারিবারিক সদস্য।তিনি জানিয়েছেন সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় সুশান্তের ফ্ল্যাটে যখন সবাই ছিল, তখন ফ্ল্যাটের চাবি কিভাবে হারিয়ে যেতে পারে। এই বিষয়টি তাঁদের রীতিমতো অবাক করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন সেই হারিয়ে যাওয়া চাবি তৈরীর জন্য একজনকে ডেকে আনা হয়েছিল তবে তাকে ঘরে ঢোকানো হয়নি। তিনি এও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে পিঠানি ওই সময় 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' করতেন।
সেইসময় তিনি রিয়া চক্রবর্তীর একটি ভিডিও সম্পাদনা শুরু করেছিলেন। বেশিরভাগ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে 'বুদ্ধ' ইউসার নামে তাঁকে ট্যাগ করতেন রিয়া।প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু হয় ১৪ ই জুন। তাঁর বান্দ্রার ফ্ল্যাট মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আর আগে ৮ ই জুন তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, যখন ৮ ই জুন – ১২ জুন পর্যন্ত সুশান্তের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটেই ছিলেন সুশান্তের বোন মিঠু। গত ৬ আগস্ট, বিহার পুলিশের সুপারিশে কেন্দ্রের নির্দেশ অনুসারে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করে সিবিআই।