মুম্বই: যখন মানসিকভাবে স্ট্রং কোনও ভারতীয় মহিলার কথা আসে, প্রথমে যাদের কথা মনে আসে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন নীনা গুপ্তা। তিনি সর্বদা নিজের মতো, নিজের শর্তে জীবন যাপন করেছেন। নিজস্ব ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের কথা শুনেছেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেছেন। বিয়ের আগে সন্তান নেওয়ায় তাঁর প্রতি অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিল। কিন্তু পিচু হটেননি নীনা। জন্ম দিয়েছিলেন মাসাবাকে। সবসময় তিনি নিজের কাছে সৎ থেকেছেন। মাসাবাও নীনাতে হতাশ করেননি। গত চিন বছরে তাঁর এবং তাঁর মায়ের উত্তরণ হয়েছে। ফ্যাশনে তো বটেই, ছবির ক্ষেত্রেও আরও একবার নিজের জাত চিনিয়েছেন নীনা।
মাসাবা তাঁর কেরিয়ারে উন্নতি করেছে। তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্ত এবং পর্বগুলিতে নীনার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। একথা বারবার বলেছেন মাসাবা। তবে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে অতীতে যা হয়েছে তার জন্য নীনা নিজে বা তাঁর মেয়ে মাসাবা বা মাসাবার সঙ্গে ঘটে যাওয়া জিনিসগুলি নিয়ে তাঁর কেউই অত্যন্ত চিন্তিত এবং ক্ষতিগ্রস্থ। মাসাবা এমনভাবে বড় হয়েছেন যেখানে তিনি তাঁর বাবা ও মা উভয়ের প্রতিই তাঁর ব্যক্তিগতভাবে আলাদা আলাদা অনুভূতি রয়েছে। তিনি বলেছেন, “আমি কখনই ভাবি না যে আমার মা এবং বাবার মধ্যে এই ধরণের সম্পর্ক ছিল। তাই আমার সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে। বা আমার মায়ের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এমন আচরণ করা হয়নি, তাই আমিও একই মুখোমুখি হব। কখনও এমন ভাবিনি।”
নীনা গত ১২ বছর ধরে বিবেক মেহরার সঙ্গে সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করেছেন। তবে তিনি প্রকাশ করেছেন যে পরিস্থিতি অন্যরকম হলে তাঁর পক্ষে কখনই তা মেনে নেওয়া সম্ভব হত না। “যদি আমার স্বামী মাসাবাকে পছন্দ না করতেন বা তিনি যদি মাসাবার সঙ্গে একাত্ম না হতে পারতেন, তাহলে আমি কখনই তাঁকে বিয়ে করতাম নাI কোনও মানুষকে আমি কতটা ভালোবাসি বা কামনা করি তা কখনওই এ মাঝে আসত না। আমার মেয়ের সঙ্গে যদি তাঁর কোনও সমস্যা হত তবে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে থাকতাম না।” বলেন নীনা।