মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের 'দিল বেচারা'র সহশিল্পী সঞ্জনা সংঘি ২০১৮ সালে এই অভিনেতার বিরুদ্ধে #MeToo অভিযোগ এনেছিলেন। সেই নিয়ে মুখ খুললেন সঞ্জনা। পাশাপাশি রিয়া চক্রবর্তীকে নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। রিয়ার দাবির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সঞ্জনা বলেন, “একজন মহিলা হিসেবে যতটা বলার, যথেষ্ট স্পষ্ট করে বলেছি। আমি এর বেশি আর কিছু বলতে চাই না।”
রিয়া চক্রবর্তী সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “#MeToo অভিযোগ নিয়ে সুশান্তের খুব মন খারাপ হয়েছিল। ধোঁয়াশা কাটাতে সঞ্জনা এক মাস সময় নিয়েছিলেন। আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বা বিশ্বের যে কোনও জায়গায় থাকি না কেন, তাদের নিয়ে কী হচ্ছে যে কেউ গুগলের মাধ্যমে সেই খবর রাখবে। কেন কাউকে স্পষ্ট করতে এত দিন লাগবে?” প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে যখন সুশান্ত সিং রাজপুতের বিরুদ্ধে #MeToo অভিযোগ ওঠে, অভিনেতা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি পরিষ্কার করতে সঞ্জনা সংঘির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটগুলি প্রকাশ করেছিলেন। সঞ্জনাওও তাঁর আগের সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তিনি কোনও গুজবে ইন্ধন দিতে চান না। অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলতে এক মাস কেন লেগেছে, তা নিয়ে কিছু বলতে চান না তিনি।
সম্প্রতি রিয়া সিবিআইকে জানিয়েছেন যে তিনি সুশান্ত সিং রাজপুতের কোনও কর্মীকে আগে চিনতেন না। তিনি বলেছিলেন, “আমি কর্মীদের নিয়োগ করিনি বা বরখাস্তও করিনি। আমার জীবনে আসার আগে সিদ্ধার্থ পিঠানি সুশান্তের বাড়িতে ছিলেন। স্যামুয়েল মিরান্ডাকে সুশান্তের বোন এনে দিয়েছিলেন। দীপেশ আগে থেকেই সুশান্তের পরিচারক ছিলেন। কেশব এবং নীরজকেও সুশান্ত নিয়োগ করেছিলেন। সুশান্তই আমাকে তাঁর কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।” রিয়া বলেন যে সুশান্তের হতাশা ছিল। তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হত। রিয়া তাঁর সঙ্গে দেখা করার আগে থেকেই সুশান্ত ওষুধ খাচ্ছিলেন। রিয়া দাবি করেছিল যে সুশান্তই তাঁকে ডাক্তারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। সুশান্তই ঠিক করতেন কোন ডাক্তারের থেকে চিকিৎসা করাবেন। রিয়ার মতে, প্রয়াত অভিনেতা জানিয়েছিলেন যে তিনি ২০১৩ সালে একজন সাইকিয়াট্রিস্টের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন।