মুম্বই: সুশান্তের আত্মহত্যা মামলায় নতুন তথ্য। এবার কুপার হাসপাতালের এক কর্মীর তরফে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি জানিয়েছেন সুশান্তের দেহ কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দেখা যায় তাঁর পা ভাঙা ছিল। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেছেন হাসপাতালের ওই কর্মী। তিনি এও বলেছেন, একাধিক সিনিয়ার চিকিৎসক অভিনেতার দেহ পরীক্ষা করেছিলেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিলেন যে এটা খুন। আত্মহত্যা নয়।
হাসপাতাল কর্মীর এই বক্তব্য একটি ভিডিও করা হয়েছে। সেটি সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি শেয়ার করেছেন। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে ওই হাসপাতাল কর্মী বলেছেন, সুশান্তের গলাতেও সূচ ফোটানোর মতো একটি ছোট্ট চিহ্ন ছিল। তাতে সেলোটেপ লাগানো ছিল। এছাড়া অভিনেতার দেহে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি চিহ্ন ছিল বলেও জানান তিনি। এও বলেন, দেহ যখন ময়নাতদন্তের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়, তখনও ছিলেন তিনি। সুশান্তের পা ভাঙা ছিল। সম্পূর্ণ মোড়া ছিল তাঁর পা। সেদিন রিয়া চক্রবর্তী কুপার হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলে জানান ওই কর্মী। রিয়া নাকি কিছুক্ষণ ভিতরে ছিলেনও। তখন রিয়ার সঙ্গে থাকা সাদা শার্ট পরা এক ব্যক্তি হাসাপাতালের ওই কর্মীকে বেরিয়ে যেতে বলেন। প্রায় ২৫ মিনিট ভিতরে ছিলেন তাঁরা। ভিতরে ক্ষমা চাইছিলেন রিয়া।
হাসপাতালের ওই কর্মী আরও জানান ফাঁসি দেওয়া হলে সেই দেহ কখনও হলুদ হবে না। সুশান্তের গলায় যেমন ছোট ছোট সূচ দিয়ে ফোটানোর মতো ছিদ্র ছিল। তালুতেও তেমন ছিদ্র ছিল বলে জানান হাসপাতালের ওই কর্মী। ভিডিয়োটি শেয়ার করে সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি লিখেছেন, ''হে ভগবান! এই খবর আবার আমার হৃদয় ভেঙে দিল। ওরা আমার ভাইয়ের সঙ্গে যে কী করেছিলে! প্লিজ দোষীদের গ্রেপ্তার করুন!!''
My God!! Listening to news like this breaks my heart a million times…what all they did with my brother. Please, please arrest them!! #ArrestCulpritsOfSSR pic.twitter.com/2fdU0n3lyj
— shweta singh kirti (@shwetasinghkirt) August 29, 2020
null
কিছুদিন আগে সুশান্তের অ্যাম্বুলেন্সের চালক জানান, অভিনেতার গলার সামনের দিকেই কেবল দাগ দেখা গিয়েছিল৷ গলার চারিদিকে নয়৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সুশান্তের পা মোড়া ছিল৷ যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন, তাঁর পা মোড়া থাকবে কেন? এছাড়াও সুশান্তের পায়ের নানা জায়গায় ক্ষত ছিল বলেও জানান তিনি৷ তাঁর কথায়, ‘‘আত্মহত্যা করলে পায়ে এই দাগ এল কোথা থেকে? আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, তাঁর দুটে পা’ই ভাঁজ করা ছিল৷ ঠিক লাথি মারার সময় যে ভাবে আমরা পা ভাঁজ করে থাকি, অনেকটা সেরকম৷’’ অ্যাম্বুলেন্স চালকের কথায়, আত্মহত্যা করা বহু মানুষের মৃতদেহ তিনি দেখেছেন। সেই অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করেই তাঁর মনে হয়েছে এই মৃত্যু আত্মহত্যা নয়। কিন্তু কেউ যখন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তখন কি পা ছোঁড়েন? তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, ছুড়তেই পারে, কিন্তু তাঁর পা মোড়া থাকবে কি করে? আর সাধারণত এই ক্ষেত্রে মুখে থেকে ফেনা বেরিয়ে আসার কথা৷ কিন্তু সুশান্তের মুখ দিয়ে ফেনা বেরিয়ে আসেনি৷’’