মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত রোজই নতুন নতুন মোড় নিচ্ছে। সুশান্তের ময়নাতদন্তের পর থেকে জানানো হয়েছিল অভিনেতা আত্মহত্যাই করেছেন। কোনভাবেই তাঁকে খুন করা হয়নি। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে তত খুনের অনুমান ফেলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সম্প্রতি সিবিআই জানিয়ে দিয়েছে এখনও পর্যন্ত তদন্তে যে তথ্য মিলেছে সেই অনুযায়ী আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত। হত্যার কোনও রকম প্রমাণ এখনও মেলেনি।
কয়েকদিন আগে সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত হাতে নেয় সিবিআই। মামলা হাতে আসার পরই জোরকদমে কাজ শুরু করে দেয় তারা। নতুন করে অভিযোগ দায়ের করে শুরু হয় তদন্ত। টানা পাঁচ দিন ধরে রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর ভাই শৌভিককে জিজ্ঞাসা করছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। বাদ নেই রিয়ার বাবা-মাও। এছাড়া সিদ্ধার্থ পিঠানি, স্যামুয়েল মিরান্ডা। দীপেশ সাওয়ন্তকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সুশান্তের ফ্ল্যাটে গিয়ে সেদিনের দৃশ্যপট পুনর্নির্মাণ করেছে। এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি জানিয়েছে তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে সমস্ত তথ্য ও প্রমাণ তাঁরা হাতে পেয়েছেন সেগুলো আত্মহত্যার দিকেই ইঙ্গিত করে। খুনের এখনও কোন প্রমাণ তাঁদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। তবে AIIMS-এর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টের জন্য প্রতীক্ষা করছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: ফের মানবিক, নিজের সংসদীয় কার্যালয়কে আইসোলেশন সেন্টারে পরিণত করলেন দেব
সম্প্রতি কুপার হাসপাতালের এক কর্মী বলেছেন, সুশান্তের গলাতেও সূচ ফোটানোর মতো একটি ছোট্ট চিহ্ন ছিল। তাতে সেলোটেপ লাগানো ছিল। এছাড়া অভিনেতার দেহে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি চিহ্ন ছিল বলেও জানান তিনি। এও বলেন, দেহ যখন ময়নাতদন্তের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়, তখনও ছিলেন তিনি। সুশান্তের পা ভাঙা ছিল। সম্পূর্ণ মোড়া ছিল তাঁর পা। সেদিন রিয়া চক্রবর্তী কুপার হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলে জানান ওই কর্মী। রিয়া নাকি কিছুক্ষণ ভিতরে ছিলেনও। তখন রিয়ার সঙ্গে থাকা সাদা শার্ট পরা এক ব্যক্তি হাসাপাতালের ওই কর্মীকে বেরিয়ে যেতে বলেন। প্রায় ২৫ মিনিট ভিতরে ছিলেন তাঁরা। হাসপাতালের ওই কর্মী আরও জানান ফাঁসি দেওয়া হলে সেই দেহ কখনও হলুদ হবে না। সুশান্তের গলায় যেমন ছোট ছোট সূচ দিয়ে ফোটানোর মতো ছিদ্র ছিল। তালুতেও তেমন ছিদ্র ছিল বলে জানান হাসপাতালের ওই কর্মী। তারপর থেকেই সুশান্তকে খুনের অনুমান ফের উসকে উঠতে থাকে।