সুশান্ত মামলায় প্রথম গ্রেপ্তার, মাদক সরবরাহের অভিযোগে NCB’র জালে ২

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় গ্রেপ্তারি শুরু করল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। গ্রেপ্তার করা হল রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিকের দুই পরিচিতকে। মাদক সরবরাহ করার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। ওই দুই ব্যক্তির নাম আবদুল বাসিত এবং জাইদ ভিলাত্রা।

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় গ্রেপ্তারি শুরু করল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। গ্রেপ্তার করা হল রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিকের দুই পরিচিতকে। মাদক সরবরাহ করার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। ওই দুই ব্যক্তির নাম আবদুল বাসিত এবং জাইদ ভিলাত্রা।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় এখন তিন তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে। সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিহারের রাজীবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। তাঁর একাধিক অভিযোগের মধ্যে অন্যতম ছিল রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার জট কাটাতে তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। তদন্তের সময়ই উঠে আসে রিয়া ও সুশান্তের সঙ্গে ড্রাগ চক্রের যোগের কথা। মামলায় ঢোকে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এই সংস্থার হাতে বুধবার মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার হয় আবদুল বাসিত ও জাইদ ভিলাত্রা। 

 

null

 

আরও পড়ুন: ছবিতে মাতৃত্বের ছোঁয়া, সন্তান জন্মানোর পাঁচ দিন পরই ইনস্টাগ্রামে আপডেট দিলেন কেটি পেরি

এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে রিয়া চক্রবর্তী অ্যাসোসিয়েট স্যামুয়েল মিরান্ডা তাঁকে ও তাঁর ভাই সৌভিককে ড্রাগ এনে দিতেন। স্যামুয়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আবদুল বাসিতের। এর পিছনে একাধিক তথ্যপ্রমাণও পেয়েছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ধৃত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন আবার বলিউডের সঙ্গে মাদকচক্রের যোগাযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। এছাড়া ইমতিয়াজ খাতুন নামে এক ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রুতি মোদী।
এদিকে শ্রুতির আইনজীবী অশোক সারাওগি সম্প্রতি জানিয়েছেন যে বলা হচ্ছে রিয়া সুশান্তের জীবনে আসার পর থেকেই নাকি তিনি মাদক নিতে শুরু করেন। কিন্তু তিনি দেখেছেন সুশান্ত তার আগেও মাদক নিতেন। সুশান্তের প্রাক্তন দেহরক্ষী সোহেল সাগর এবং তাঁর চালক অভিনেতাকে মাদক এনে দিতেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। সুশান্তের বাড়িতেই সোহেল ও তাঁর দুই বন্ধু আয়ুষ এবং আনন্দী সুশান্তকে নিয়ে একসঙ্গে ড্রাগ নিতেন। মাঝে মাঝে সেই পার্টিতে নাকি সুশান্তের দিদিরাও উপস্থিত থাকতেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পার্টিতে মাদক সেবন হত। তাহলে কি তাঁর দিদিরা কিছুই জানতেন না? প্রশ্ন তুলেছেন অশোক সারাওগি। এছাড়া তিনি এও জানান যে সুশান্তের এক দিদি নাকি অ্যালকোহল অ্যাডিক্টেড ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *