মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই কাঠগোড়ায় প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। একের পর এক অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। নেটিজেনরা রীতিমতো তুলোধোনা করছে তাঁকে। এছাড়া সিবিআই, ইডি এবং নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে রিয়া ও তাঁর গোটা পরিবারকে। এমন পরিস্থিতিতে সরাসরি মিডিয়ার দিকে তোপ দেগে রিয়ার পাশে দাঁড়ালেন ফারহান আখতারের বান্ধবী শিবানী দান্দেকার।
অবশ্য শিবানী প্রথম ব্যক্তি নন যিনি রিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন। এর আগে স্বরা ভাস্কর, দক্ষিণী অভিনেতা লক্ষী মঞ্চু এবং বিদ্যা বালানের মতো অভিনেতা অভিনেত্রীও রিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেই তালিকায় যুক্ত হল শিবানীর নাম। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন শিবানী। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, রিয়ার যখন মাত্র ১৬ বছর বয়স তখন থেকে তিনি তাঁকে চেনেন। রিয়া বরাবরই অত্যন্ত দৃঢ় এবং প্রাণোচ্ছল মেয়ে। কিন্তু গত কয়েক মাসে সেই প্রাণোচ্ছল মেয়েটির সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে যে সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তার কারণে রিয়া সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন বলেও জানিয়েছেন শিবানী। এরপরই তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মিডিয়ার বিরুদ্ধে। লিখেছেন, মিডিয়া এখনকার কাজকর্ম দেখে মনে হচ্ছে তারা যেন একটি নিষ্পাপ মেয়েকে শকুনের মত ছিঁড়ে খাওয়া চেষ্টা করছে। মনে হচ্ছে রিয়া এবং তাঁর পরিবারকে শেষ না করে দেওয়া পর্যন্ত শান্তি নেই। রিয়াকে যেন ডাইনি সাজিয়ে শাস্তি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সেক্ষেত্রে বিচারক এবং দন্ডদাতা দুটি ভূমিকাই পালন করছেন মিডিয়া। এরপরই শিবানী বলেন রিয়ার কি দোষ ছিল? সে একটি ছেলেকে ভালোবেসেছিল। খারাপ সময়ে ছেলেটির পাশে ছিল। কিন্তু সেই ছেলেটি যখন নিজেই নিজের প্রাণ নিল তখন সবাই পাশে থাকা মেয়েকে দোষারোপ শুরু করল। 'মানুষ নিজেদের কোথায় নিয়ে গিয়েছে?' করেছে প্রশ্ন তোলেনি শিবানী। এও বলেছেন সবাই ভুলে গিয়েছে যে রিয়ার বাবা দেশের জন্য ২০ বছর দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নাম ভাঁড়িয়ে থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন সারা, হোটেলেও ছিলেন ওই নামে
প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় এখন তিন তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে। সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিহারের রাজীবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। তাঁর একাধিক অভিযোগের মধ্যে অন্যতম ছিল রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার জট কাটাতে তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। তদন্তের সময়ই উঠে আসে রিয়া ও সুশান্তের সঙ্গে ড্রাগ চক্রের যোগের কথা। মামলায় ঢোকে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এই সংস্থার হাতে বুধবার মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার হয় আবদুল বাসিত ও জাইদ ভিলাত্রা। রিয়া চক্রবর্তী অ্যাসোসিয়েট স্যামুয়েল মিরান্ডা তাঁকে ও তাঁর ভাই সৌভিককে ড্রাগ এনে দিতেন। স্যামুয়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আবদুল বাসিতের। এর পিছনে একাধিক তথ্যপ্রমাণও পেয়েছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ধৃত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন আবার বলিউডের সঙ্গে মাদকচক্রের যোগাযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।