শুধু অভিনেতা নয়, গায়ক হিসেবেও সুনাম ছিল উত্তম কুমারের, নিজের গলায় গেয়েছিলেন গানও

কলকাতা: কেবলমাত্র নায়ক নয়, আরও কয়েকটি পরিচয়ে বাংলা ছবিতে কাজ করেছিলেন উত্তম কুমার৷‌ তিনি প্রযোজনা করেছেন ৭টি ছবি। তাছাড়াও ৬টি ছবিতে কাজ করেছেন গায়ক, সুরকার, চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক হিসাবে। পরিচালক এবং সুরকার হিসেবে সফলও হয়েছিলেন। ‌ 

কলকাতা: কেবলমাত্র নায়ক নয়, আরও কয়েকটি পরিচয়ে বাংলা ছবিতে কাজ করেছিলেন উত্তম কুমার৷‌ তিনি প্রযোজনা করেছেন ৭টি ছবি। তাছাড়াও ৬টি ছবিতে কাজ করেছেন গায়ক, সুরকার, চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক হিসাবে। পরিচালক এবং সুরকার হিসেবে সফলও হয়েছিলেন। ‌ 

অভিনয়ের আগেই গানের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল উত্তম কুমারের৷‌ গিরিশ মুখার্জি রোডে তাঁদের বাড়িতে নিয়মিত গানের আসর বসতো৷‌ পরিচালক হৃষিকেশ মুখার্জির বাবা শীতল মুখার্জি সেখানে টপ্পা গাইতেন৷‌ গানে মন বসলো অরুণ চট্টোপাধ্যায়ের৷‌ এরপর পোর্ট কমিশনার্সে চাকরির পাশাপাশি তিনি তালিম নেন প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী নিদানবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে৷‌ পরে চক্রবেড়িয়া স্কুলের সংগীত শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন অরুণ। 
নানান ঘরোয়া আসরে এবং মঞ্চে গান গাইলেও ছবিতে গায়কের ভূমিকায় তাঁকে একবারই পাওয়া গেছে।‌ নিজের গাওয়া গানে তিনি অভিনয় করেন তাঁর অভিনীত ৪৭তম ছবিতে, ১৯৫৬ সালে৷‌ সে বছর মুক্তি পায় তার ১১টি ছবি৷‌ এর মধ্যে চারটির অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন৷‌ ওই বছরের প্রথম ছবি ‘সাগরিকা’৷‌ শেষ ছবি ছিল দেবকীকুমার বসু পরিচালিত ‘নবজন্ম’৷‌‌

সেবারই প্রথম এবং শেষ শোনা যায় গায়ক উত্তম কুমারের গান৷‌ গৌরাঙ্গর ভূমিকায় নচিকেতা ঘোষের সুরে মহানায়ক গেয়েছিলেন মোট ৬টি গান৷‌ তার মধ্যে ছিল ‘কানু কহে রাই, কহিতে ডরাই’, ‘আমি আঙুল কাটিয়া’ ইত্যাদি৷‌ ছবিতে উত্তমকুমারের নায়িকা ছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এবং অরুন্ধতী দেবী৷‌

সিনেমায় আসার বহু আগে উত্তম কুমার গানের জগতে বেশ ভালভাবেই জড়িয়ে ছিলেন। অনুষ্ঠানে একটি গান গাইবার সুযোগ পেতে অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায় বিচিত্রানুষ্ঠানের কর্তাদের দোরগোড়ায় হন্যে হয়ে ঘুরেছেন। 

আরও পড়ুন: 'সপ্তপদী'র ওথেলোর চরিত্রচিত্রণে হোঁচট খেয়েছিলেন উত্তম কুমার, আসরে নামেন উৎপল

উত্তমকুমারের সঙ্গীত প্রতিভার পরিচয় মিলেছিল তারও বহু আগে। তখন তিনি উত্তম কুমার নন। অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়। তখন তিনি সবে শৈশব পেরিয়ে যৌবনে পা রেখেছেন। আর পাঁচটি বাঙালি তরুণের মতো নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন উত্তম কুমারের প্রিয় নায়ক। স্মৃতিচারণে উত্তম কুমার জানিয়েছেন, বন্ধুদের জুটিয়ে ২৩ জানুয়ারি ভবানীপুরে প্রভাতফেরি করতেন। নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ তখন লড়ছে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। সে বছর সুভাষের জন্মদিনে উত্তম কুমার নিজেই লিখলেন এবং সুর দিলেন একটি গানে। প্রভাতফেরিতে দল বেঁধে গাইলেন গানটি– 'সুভাষেরই জন্মদিনে গাইব নতুন গান/ সেই সুরেতে জাগবে মানুষ/ জাগবে নতুন প্রাণ…'

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 − two =