বহু প্রতীক্ষাতেও ইন্ডাস্ট্রি পেল না আর এক উত্তম কুমারকে, বাঙালি আজও তীর্থের কাক

কলকাতা: বাঙালিকে আজও নস্টালজিয়ায় ভরিয়ে রেখেছেন উত্তম কুমার। আজ তার ৯৪তম জন্মদিন। এ যুগে দাঁড়িয়েও বাঙালি স্বপ্নের নায়ক বলতে একমাত্র তাকেই মনে করে। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে একাধিক নায়ক এসেছেন, গিয়েছেন। কিন্তু উত্তম কুমার, উত্তম কুমার-ই। বাকিরা নায়ক। কিন্তু তিনি মহানায়ক।

কলকাতা: বাঙালিকে আজও নস্টালজিয়ায় ভরিয়ে রেখেছেন উত্তম কুমার। আজ তার ৯৪তম জন্মদিন। এ যুগে দাঁড়িয়েও বাঙালি স্বপ্নের নায়ক বলতে একমাত্র তাকেই মনে করে। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে একাধিক নায়ক এসেছেন, গিয়েছেন। কিন্তু উত্তম কুমার, উত্তম কুমার-ই। বাকিরা নায়ক। কিন্তু তিনি মহানায়ক।

আৎও পড়ুন: বাঙালির ম্যাটিনি আইডল ছিলেন উত্তম কুমার, ছিলেন সব বয়সের মেয়েদের প্রেমিক

রোম্যান্টিক হিরো, সেক্স অ্যাপেলে ভরা যুবক, পাশের বাড়ির ছেলে, সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল উত্তম কুমারের মধ্যে। তাই 'সপ্তপদী'র ওথেলো চরিত্রেও তিনি যেমন সাবলীল, তেমনই সাবলীল 'খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন'-এ। তাঁর 'স্ত্রী' ছবির অভিনয়ের কথা যেমন মানুষ ভুলতে পারবে না, তেমনি চিরকাল মনে রেখে দেবে 'ওগো বধূ সুন্দরী'র উত্তম কুমারকে। তার প্রয়াণের পর এমন কোনও নায়ককে আর পায়নি বাঙালি। উত্তম কুমারের মতো তো দূর অস্ত, তাঁর কাছাকাছি আসে এমন উদাহরণেরও নিদারুণ অভাব। বাংলা সিনেমা যে একেবারেই দেখতে সুন্দর ও ভাল অভিনয় ক্ষমতার মিশেল কোনও হিরোকে পায়নি, তা নয়। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বা যিশু সেনগুপ্ত তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। এই দুই অভিনেতা উত্তম কুমারের চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় উত্তম কুমারের জীবন কাহিনি নিয়ে তৈরি ধারাবাহিক 'মহানায়ক'-এ প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। আর যিশু সেনগুপ্ত 'মহালয়া' ছবিতে উত্তমকুমারকে পর্দায় তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই। এই দুই নায়কের অভিনয় নিয়ে কোনও প্রশ্ন না থাকলেও উত্তম কুমারের অ্যাপিল থেকে তাঁরা বঞ্চিত।

বাংলা সিনেমায় আজ নায়কের কোনও অভাব নেই। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, যিশু সেনগুপ্ত তো বটেই। রয়েছেন দেব, জিৎ, অনির্বাণ, রুদ্রনীলের মতো অনেকেই। তাঁদের বহু বহু ফ্যান ফলোয়ার্সও রয়েছে। কিন্তু এ সবও তাঁদেরকে উত্তম কুমারের ধারেপাশে নিয়ে যেতে পারেনি। প্রসেনজিতের 'মহানায়ক' বা যিশু সেনগুপ্তের 'মহালয়া' যখন মুক্তি পায়, তারপর অনেকেরই মুখে বলতে শোনা গিয়েছিল কোথাও যেন তার কেটে গিয়েছে। কোথাও যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না চিরপরিচিত উত্তমকে। এখানেই জিতে গিয়েছেন সাতের দশকের ছিপছিপে চেহারার লম্বা এক তরুণ। খাতায় কলমে যাঁর নাম অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। উত্তম কুমারের কেরিয়ার গ্রাফ ছিল বেশ দীর্ঘ। সারা জীবনের প্রায় আড়াইশোটির মতো ছবি করেছেন তিনি। কিন্তু কিছু কিছু ছবি ছাপিয়ে গিয়েছে বাকিগুলোকে। সেগুলির মাধ্যমেই বাঙালির হৃদয়ে অঙ্কিত হয়েছে মহানায়কের এক পরিপূর্ণ ছবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − nine =