মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততোই অভিযোগ উঠেছে রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সুশান্ত অনুরাগীদের অভিযোগ ৮ জুন সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রিয়া। কিন্তু ১২ জুন তিনি আবার ফিরে এসেছিলেন। অর্থাৎ সুশান্তের মৃত্যুর কয়েক দিন আগে তাঁর বাড়িতেই ছিলেন রিয়া। এই নিয়ে ঘনাচ্ছে নতুন রহস্য।
আরও পড়ুন: কোকেনে আসক্ত রণবীর-দীপিকারা, পরীক্ষা করার চ্যালেঞ্জ কঙ্গনার
সম্প্রতি রিয়ার একটি ইনস্টাগ্রম পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে রিয়া হাতে একটি ভ্যানিলা কেক নিয়ে পোজ দিচ্ছেন। ছবিটি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই শুরু হয় বিতর্ক। অনুরাগীদের মতে ভ্যানিলা ম্যাঙ্গো কেক নিয়ে যে ছবিটি তুলেছেন রিয়া, সেটি সুশান্তের বাড়িতেই তোলা। সুশান্তের বাড়ির ড্রইং রুমে তোলা হয়েছে ছবিটি। ছবিতে ট্যাগ করা হয়েছে শ্রুতি মোদিকে। এছাড়া হোমমেডসানশাইন কেও ট্যাগ করেছিলেন রিয়া। পরে হোমমেডসানশাইনের তরফেও একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়। সেখানে রিয়াকে ট্যাগ করে লেখা হয় তাঁর নিশ্চয়ই কেকটি ভাল লেগেছে। প্রতিটি পোস্ট শেয়ার করা হয়েছিল ১২ জুন। আর এই দিনটি তুলেই শুরু হয়েছে জল্পনা। ফ্যানদের প্রশ্ন, তাহলে কি ৮ জুন রিয়া বেরিয়ে যাওয়ার পর ফের ১২ জুন ফিরে এসেছিলেন তিনি? এমনকি ৮ থেকে ১৪ জুনের মধ্যে কী কী ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখার দাবি উঠছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর জন্য সুশান্তের ফ্ল্যাটের সিসিটিভি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে আবেদন করেন নেটিজেনরা।
প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় এখন তিন তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে। সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিহারের রাজীবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। তাঁর একাধিক অভিযোগের মধ্যে অন্যতম ছিল রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার জট কাটাতে তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। তদন্তের সময়ই উঠে আসে রিয়া ও সুশান্তের সঙ্গে ড্রাগ চক্রের যোগের কথা। মামলায় ঢোকে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এই সংস্থার হাতে বুধবার মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার হয় আবদুল বাসিত ও জাইদ ভিলাত্রা। রিয়া চক্রবর্তী অ্যাসোসিয়েট স্যামুয়েল মিরান্ডা তাঁকে ও তাঁর ভাই সৌভিককে ড্রাগ এনে দিতেন। স্যামুয়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আবদুল বাসিতের। এর পিছনে একাধিক তথ্যপ্রমাণও পেয়েছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ধৃত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন আবার বলিউডের সঙ্গে মাদকচক্রের যোগাযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।