সৌরভের বায়োপিক তৈরি করতে চেয়েছিলেন সুশান্ত, হল না স্বপ্নপূরণ

মুম্বই: বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলাটি সিবিআই তদন্ত করছে। এ নিয়ে রোজই নতুন নতুন ঘটনা সামনে আসছে। তবে শুধু সিবিআই নয়। মামলাটি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি) এবং নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোরও হাতে রয়েছে। এই দুই সংস্থা যথাক্রমে আর্থিক তছরূপ এবং ড্রাগ নিয়ে ষড়যন্ত্রের অ্যাঙ্গেলগুলির জন্যও তদন্ত করছে। এই টানাপোড়েনের মধ্যে প্রকাশ্যে এল আর একটি তথ্য। সুশান্ত নাকি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিক তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
 

মুম্বই: বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলাটি সিবিআই তদন্ত করছে। এ নিয়ে রোজই নতুন নতুন ঘটনা সামনে আসছে। তবে শুধু সিবিআই নয়। মামলাটি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি) এবং নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোরও হাতে রয়েছে। এই দুই সংস্থা যথাক্রমে আর্থিক তছরূপ এবং ড্রাগ নিয়ে ষড়যন্ত্রের অ্যাঙ্গেলগুলির জন্যও তদন্ত করছে। এই টানাপোড়েনের মধ্যে প্রকাশ্যে এল আর একটি তথ্য। সুশান্ত নাকি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিক তৈরি করতে চেয়েছিলেন।

এই খবর প্রকাশ করেছেন সুশান্তের ব্যবসায়িক অংশীদার বরুণ মাথুর। সম্প্রতি ইডি তাঁকে সুশান্তের মৃত্যু মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল। জিজ্ঞাসাবাদ চলার সময়ই তিনি এই তথ্য দেন ইডিকে। বলেন যে তিনি ইনসেই ভেঞ্চারস কোম্পানিতে প্রয়াত অভিনেতার সাথে কাজ করছিলেন এবং তিনি এও বলেন যে সুশান্ত তাঁর নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সেই ব্যানারেই ভারতীয় ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গপাধ্যায়ের বায়োপিক তৈরি করতে আগ্রহী ছিলেন। এটি ছিল তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প। বরুণ আরও প্রকাশ করেছেন যে সৌরভের পাশাপাশি, সুশান্ত স্বামী বিবেকানন্দ, মাদার তেরেসা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মহাত্মা গান্ধীর মতো ১২ জন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের উপর ভার্চুয়াল রিয়েলিটি চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন। সুশান্ত বরুণের সঙ্গে এই প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: সুশান্ত-কাণ্ডে বেপরোয়া হয়ে উঠছে সংবাদমাধ্যম, সংযত হওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় এখন তিন তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে। সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিহারের রাজীবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। তাঁর একাধিক অভিযোগের মধ্যে অন্যতম ছিল রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার জট কাটাতে তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। তদন্তের সময়ই উঠে আসে রিয়া ও সুশান্তের সঙ্গে ড্রাগ চক্রের যোগের কথা। মামলায় ঢোকে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এই সংস্থার হাতে বুধবার মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার হয় আবদুল বাসিত ও জাইদ ভিলাত্রা। রিয়া চক্রবর্তী অ্যাসোসিয়েট স্যামুয়েল মিরান্ডা তাঁকে ও তাঁর ভাই সৌভিককে ড্রাগ এনে দিতেন। স্যামুয়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আবদুল বাসিতের। এর পিছনে একাধিক তথ্যপ্রমাণও পেয়েছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ধৃত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন আবার বলিউডের সঙ্গে মাদকচক্রের যোগাযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *