বহিরাগত আয়ুষ্মান খুরানার সৌভাগ্য,  এখনও টিকে আছেন: সাহিল আনন্দ

কাসৌটি জিন্দেগি কি ২ খ্যাত অভিনেতা সাহিল আনন্দ এবার মুখ খুললেন 'নেপোটিজম' নিয়ে। এই হিন্দি ধারাবাহিকে অনুপম সেনগুপ্তে'র চরিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শকের মন কেড়েছে। এর আগে 'সতী' ধারাবাহিকেও তাঁকে দর্শকরা ভালবাসা দিয়েছিলেন। কিন্তু জানেন কি, আলিয়া ভট্ট, বরুণ ধাওয়ান এবং সিদ্ধার্থ মালহোত্রা অভিনীত 'স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার' ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছিলেন!

মুম্বই: কাসৌটি জিন্দেগি কি ২ খ্যাত অভিনেতা সাহিল আনন্দ এবার মুখ খুললেন 'নেপোটিজম' নিয়ে। এই হিন্দি ধারাবাহিকে অনুপম সেনগুপ্তে'র চরিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শকের মন কেড়েছে। এর আগে 'সতী' ধারাবাহিকেও তাঁকে দর্শকরা ভালবাসা দিয়েছিলেন। কিন্তু জানেন কি, আলিয়া ভট্ট, বরুণ ধাওয়ান এবং সিদ্ধার্থ মালহোত্রা অভিনীত 'স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার' ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছিলেন!

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সাহিল বলেন, “বিশ্বাস করুন, বলিউডে সত্যিই নেপোটিজম রয়েছে।” তাঁর নিজেরও এই অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাহিল। তিনি মনে করেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সুশান্ত সিং রাজপুত মামলার জন্যে শুটিং এর ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়েছে বর্তমানে ব্যাপক ভাবে। তাঁর কথায়, কোভিড সংক্রমণ তো আছেই, তারপর সুশান্তের মৃত্যু বলিউডকে অনেকটা দমিয়ে দিয়েছে। ছবি মুক্তির ব্যাপারেও নির্মাতারা এখন অনেকটাই দ্বিধাগ্রস্ত। এরপরেই তিনি বলেন, “ভিতরে কি ঘটে না ঘটে আমি জানি। ইন্ডাস্ট্রিতে বহিরাগত হলে যে অবস্থা হয় তা আমিও অনুভব করেছি। সুশান্তের মৃত্যুর পর বলিউডের অনেক বিখ্যাতদের মামলায় টানা হয়েছে। তাই বর্তমানে যে ধরণের খবর মানুষের সামনে প্রকাশিত হয়েছে, তার জন্যে একাধিক নির্মাতা এখন ছবি নির্মাণ করতে চাইছেন না, পাশাপাশি কোভিড তো আছেই।”

সাহিল আনন্দ

সাহিলের মতে, বলিউডে মহিলা অভিনেত্রীদের চেয়ে পুরুষ অভিনেতারাই সব থেকে বেশি  নেপোটিজমের শিকার হন। তিনি বলেন, ” ইন্ডাস্ট্রি এখন একটা শ্রেণির দ্বারা পরিচালিত হয়। আমাকে এমন কোনও চলচ্চিত্র নির্মাতা দেখাতে পারবেন, যিনি সাম্প্রতিক সময়ে একজন বহিরাগতকে 'প্রধান নায়ক' হিসাবে কাজ দিয়েছেন? কেউই বাইরের লোককে ছবিতে মুখ হিসাবে কাজ দেননা।” তিনি আরও বলেন বর্তমানে প্রত্যেকের মনেই নতুন কাউকে দেখলে এই প্রশ্নটা জাগে যে, “এ আবার কার ছেলে?” সাহিল এরপর বলেন, “সতী'তে আমার অভিনয় সবার ভাল লেগেছিল কারণ আমি ভাল কাজ করেছিলাম। কিন্তু এরপর যে আমাকে কেউ কাজ দেবে না তা আমি জানি, কারণ আমি কোনও বিখ্যাত মানুষের ছেলে নই।”

এরপর সাহিল আয়ুষ্মান খুরানা ও সুশান্তের ব্যাপারে বলেন, “এঁরা দুজনেই বহিরাগত হিসাবে ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত হয়েছিলেন। কিন্তু এখন সুশান্ত চলে গিয়েছেন। শুধুমাত্র আয়ুষ্মান আছেন। আয়ুষ্মান অনেক ভাগ্য নিয়ে এসেছেন, যে এখনও টিকে থাকতে পেরেছেন ইন্ডাস্ট্রিতে।” শেষে তিনি বলেন, “এখনই ইন্ডাস্ট্রির এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না। আগেও বহুবার এই ধরনে ধরনের ঘটনায় ইন্ডাস্ট্রি তোলপাড় হয়েছিল, কিন্তু কিছুদিন পরেই তা থেমে গিয়েছিল। বর্তমানে সুশান্তের মৃত্যুতেও একই পরিস্থিতি ঘটছে। এক্ষেত্রে চলচ্চিত্র নির্মাতারা কয়েকদিনের জন্য ছবি নির্মাণ বন্ধ রেখেছেন কেবল।” তাঁর কথায় এই পরিস্থিতি ও অভিজ্ঞতা তিনি কাটিয়ে এসেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *