মুম্বই: একদিনে দুটি রাজযোগ ইদানিং বলিউডের বহুচর্চিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের। বৃহস্পতিবারই বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে তাঁর পালি হিলের মণিকর্ণিকা ফিল্মজের দফতর ভাঙার কাজ বন্ধ রাখার জন্য বৃহন্মুম্বই পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। অফিসের বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে ফেলায় এই সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে সম্মুখ সমরে লিপ্ত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।
অন্যদিকে এদিনই পুরো ঘটনায় অভিনেত্রীর সমর্থনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির জোটসঙ্গী রিপাবলিকান পার্টির সাংসদ রাজনীতিবিদ তথা সমাজকর্মী রামদাস আঠাওয়ালে। বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ে কঙ্গনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে দলের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
কঙ্গনার সঙ্গে এদিন এক ঘন্টা কথা বলেন এই সাংসদ। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, অভিনেত্রীকে নির্ভয় দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন মুম্বাই দেশের অর্থনৈতিক শহর এবং এখানে সকলের থাকার অধিকার আছে। তাঁর দল কঙ্গনার পাশে আছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, কঙ্গনার মুম্বাইয়ের এই অফিসটি তৈরি হয়েছে গত জানুয়ারি মাসে। অফিস ভাঙার ঘটনায় রীতিমতো অপমানিত বোধ করছেন বলে তাঁকে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে প্রসঙ্গেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে কঙ্গনার। অভিনেত্রী তাঁকে জানিয়েছেন, নির্মান কাজের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছিল সেখানে যে তিনি দু-তিন ইঞ্চি অতিরিক্ত জায়গা ব্যবহার করেছেন তা তাঁর জানা ছিল না। তাই অফিসের সেই অতিরিক্ত জায়গাটি ভেঙে ফেলতে পারত পুরসভা। কিন্তু যেভাবে ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল তাতে অফিসের ভিতরের দেওয়াল থেকে শুরু করে অনেকটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত। যদিও বৃহন্মুম্বাই পুরসভার দাবি অফিস ভাঙার কাজ শুরু করার আগে ২৪ঘন্টার মধ্যে অভিনেত্রীকে বৈধ নথি জমা করতে বলা হয়েছিল মা তিনি করেননি।
সম্প্রতি, সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই বলিউড ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে মুম্বাইয়ের পুলিশ প্রশাসন, একের পর এক মহলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তবে সম্প্রতি মুম্বাইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করে সরাসরি মহারাষ্ট্র সরকারের চক্ষুশূল হয়েছেন কঙ্গনা। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর মুম্বাইতে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাঁর এই আস্পর্ধার পেছনে রাজনৈতিক মদত রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। বলা যায় এবার রিপাবলিকান পার্টির সাংসদের এই সমর্থন সেই জল্পনাকেই উস্কে দিল।